শীতের ভোরে ভ্রমণ করবেন যে কারণে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২০, ২০২৪, ০১:৫৩ পিএম
শীতের ভোরে ভ্রমণ করবেন যে কারণে
ছবি: সংগৃহীত

নরম রোদ আর শিশুর ভেজা ঘাসের দেখা পাওয়া যায় একমাত্র শীতকালেই। ভ্রমণের আদর্শ সময় শীতকাল। তখন প্রকৃতি নতুন রূপে ধরা দেয়। এরকম শীতের সকালে ভ্রমণ যেমন অন্যরকম আনন্দ দেয় তেমনি অভিজ্ঞতা দিয়েও সমৃদ্ধ করে। আর তাইতো অনেকেই শীতের সকালে বেরিয়ে পড়ে ভ্রমণে।

  • শীতের সকালে বাইরে বের হলে শীতল বাতাস ও সূর্যের প্রথম আলো মস্তিষ্কে ডোপামিন নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়, যা মনকে সতেজ রাখে। এতে মন হয়ে উঠে চাঙ্গা।
  • বেঁচে থাকার জন্য বিশুদ্ধ অক্সিজেন অপরিহার্য। সেই বিশুদ্ধ অক্সিজেন পাওয়া সম্ভব ভোরের আবহাওয়ায়। ভোরের পরিবেশ থাকে বায়ু ও শব্দদূষণমুক্ত। যার কারণে সহজেই গাছপালা থেকে মুক্ত অক্সিজেন গ্রহণ করা যায়।
  • রোদ ভিটামিন ডি-র ভালো উৎস। তবে যেহেতু  শীতে রোদের তীব্রতা কম থাকে তাই এসময় ভিটামিন ডি-র ঘাটতি হয়। তাই এসময় যদি সকালে ভ্রমণে যান এবং হালকা হাঁটা হাঁটি করেন তাহলে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি পূরণ হয় এবং রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। এতে হার্টও সুস্থ থাকে।
  • গরমে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে যায় মানুষ। সেই তুলনায় শীতে মানুষের মধ্যে ক্লান্তি কম। তাই এসময় বেশি সময় ধরে হাঁটা বা দৌড়ানো যায়। এতে ক্যালোরি বেশি খরচ হয় এবং ওজন কমে।
  • যত ভোরে বের হবেন ততই বিশুদ্ধ বাতাস ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। এতে মানসিক ভাবে ভালো থাকা সম্ভব। শরীর ও মন ভালো থাকলে চিন্তা-ভাবনায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। যার ফলে মনোবল বাড়বে। সব কাজে কর্মে সফলতা আসবে।
  • অনেকেই আছেন অল্প ঠান্ডা বা কুয়াশা পড়লেই সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হয়। যদি আপনি শীতের ভোরে ভ্রমণে বের হন তাতে আপনার কুয়াশা ও শীতের ঠান্ডা আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার শক্তি তৈরি হবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। 
Link copied!