দেশে বিদেশি পর্যটক বাড়াতে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান। তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের কারণে দেশে অভ্যন্তরীণ পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি আনন্দের কথা।”
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পর্যটন ভবনে অবস্থিত বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও পর্যটন করপোরেশন পরিদর্শনকালে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। পরিদর্শনকালে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
ফারুক খান বলেন, “আমাদের বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে। বিদেশি পর্যটকরা যেন বাংলাদেশের পর্যটন আকর্ষণ সম্পর্কে জানতে পারে সেজন্য উদ্ভাবনী প্রচার-কৌশল কাজে লাগাতে হবে।”
পর্যটনমন্ত্রী বলেন, “বিদেশি পর্যটকদের জন্য ভিসা সহজিকরণ, তাদের দ্রুততম সময়ে ভিসা প্রদান, অন অ্যারাইভাল ভিসার আওতা বৃদ্ধি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া তাদের জন্য এয়ারপোর্টে বিশেষ সার্ভিস চালুকরণ ও দক্ষ ট্যুর গাইড তৈরি করা হবে।”
ফারুক খান বলেন, “বাংলাদেশের পর্যটনের অপার সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে পর্যটন খাতের বিদ্যমান সমস্যা চিহ্নিত করে তার সমাধানে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। আমাদের পর্যটনে বেসরকারি খাত ও ট্যুর অপারেটরগণ গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন। পর্যটনের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তাদের সঙ্গে সমন্বয় বৃদ্ধি সাপেক্ষে সব প্রকার সহযোগিতা প্রদান করা হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে পর্যটন খাতে কর্মরত সবাইকে চিন্তা-ভাবনা ও কাজে স্মার্ট হতে হবে। সবাই মিলে আন্তরিকভাবে কাজ করলে পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন হবেই। এ শিল্পে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবেই।”
ফারুখ খান আরও বলেন, “আমাদের সংস্কৃতিকে ঠিক রেখে বিদেশি পর্যটকদের কাছে পর্যটন আকর্ষণকে সঠিকভাবে তুলে ধরতে হবে। আমাদের পর্যটন গন্তব্যগুলো জনপ্রিয় করে তুলতে হবে। পাশাপাশি ইকো ট্যুরিজম, অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম ও কালিনারি ট্যুরিজমের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। পর্যটন করপোরেশনের সকল স্থাপনা আরও বেশি লাভজনক করার জন্য সেবার মান বৃদ্ধির পাশাপাশি নতুন নতুন সেবা চালু করতে হবে।”