সমুদ্রসৈকত বা দ্বীপ বরাবরের মতই সবার প্রিয়। সমুদ্রের উত্তাল গর্জন আর শীতল বাতাস সবার হৃদয়ই শিহরিত করে। আর এটাই সেন্ট মার্টিনে যাওয়ার ভালো সময়। কারণ শীত ছাড়া অন্য সময়গুলোতে উত্তাল থাকে সাগর। এ সময়টা সেন্ট মার্টিন ভ্রমণের সবচেয়ে ভালো ও নিরাপদ।
দীর্ঘদিন পর সেন্ট মার্টিনে জাহাজ চলাচল শুরু। এবার টেকনাফ থেকে না, সরাসরি কক্সবাজার থেকে জাহাজ যাবে সেন্ট মার্টিনে। আগামী দুই মাস এই নৌপথে ট্রাভেল পাস সংগ্রহের মাধ্যমে প্রতিদিন দুই হাজার মানুষ দ্বীপে ভ্রমণ করতে পারবে। তবে যাওয়ার আগে জেনে নিন কিছু তথ্য। এতে ভ্রমণ সহজ ও উপভোগ্য হবে।
সেন্ট মার্টিন যেতে হলে যেতে হবে কক্সবাজার থেকে। এবার টেকনাফ থেকে জাহাজ চলাচলের অনুমতি নাই। কক্সবাজারে নুনিয়াছটা বিআইডব্লিউটিএ জেটি থেকে সকালে সেন্ট মার্টিন থেকে ছেড়ে যায় জাহাজ। আবার সেন্ট মার্টিন থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে বিকেলে ছেড়ে আসে।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডিসেম্বর ও জানুয়ারি এই দুই মাসই সেন্ট মার্টিন ভ্রমণ করতে পারবেন। এই দুই মাস প্রতিদিন দুই হাজার পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে পারবেন। ভ্রমণ ও সেখানে রাতযাপনের সুযোগ পাবেন।
ট্রাভেল পাসের জন্য পর্যটকদের আলাদা করে কোথাও গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে না। কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন নৌপথে এ বছর পাঁচটি পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। যেকোনো জাহাজের টিকিট বুকিং করলেই নিবন্ধন–সংক্রান্ত বাকি কাজ জাহাজ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানই করে দেবে।
চলাচলের অনুমতি পাওয়া সেসব জাহাজগুলোর ওয়েবসাইট আছে। এসব ওয়েবসাইটে ঢুকে টিকিট সংগ্রহ করা যাবে। ০১৬১০ ০৫১০০৫, ০১৯৬ ৭৬৭০৭০৭ মোবাইল নম্বরগুলোতেও কল করে এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস, বে-ক্রুজার ১ ও এমভি বারো আউলিয়ার টিকিট বুকিং করা যাবে। আর কেয়ারি সিন্দাবাদ জাহাজের বুকিং দিতে ০১৮৪৭ ৩২৩৭০৫-০৬ নম্বরে কল দিতে হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্টও এসব জাহাজের টিকিট বিক্রি করে থাকে।
জাহাজ গুলোর ওয়েবসাইট
- এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস: https://karnafulyexpress.com.bd
- এমভি বারো আউলিয়া: https://baroawlia.com.bd
- বে-ক্রুজার ১: https://bayone.com.bd
- কেয়ারি সিন্দাবাদ: www.kearitourismbd.com