সাগরের তলদেশে মিউজিয়াম। অবাক হলেও সত্যি! গ্রিসের ইজিয়ান সাগরের স্বচ্ছ নীল পানির নিচেই এই মিউজিয়ামের অবস্থান। যেখানে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য জিনিস। ডুবে যাওয়া জাহাজের ধ্বংসাবশেষও যত্ন করে সংরক্ষণ করা হয়েছে এই মিউজিয়ামে। বাদ পড়েনি ২ হাজার ৫০০ বছরের পুরোনো মদের পিপেও।
বিবিসি জানায়, সমুদ্রের পানির নিচে এই মিউজিয়াম দেখতে ভিড় করছেন অসংখ্য দর্শনার্থী। মুখে অক্সিজেন মাস্ক ও ডুবুরির পোশাক পরে নেমে যাচ্ছেন সাগরে। পানির নিচেই তারা এসব সৌন্দর্য উপভোগ করছেন।
গ্রীসের অ্যালোনিসোস দ্বীপে ইজিয়ান সাগরের স্বচ্ছ পানির নিচেই এই মিউজিয়াম বানানো হয়। এটি অনন্য ধাঁচের মিউজিয়াম। দর্শনার্থীরা বলছেন, এই মিউজিয়াম ডাইভিং ও প্রত্নতত্ত্বের অপূর্ব সমন্বয়। সাময়িক সময়ের জন্য় মনে হবে আপনি ইতিহাসের পাতায় ডুব দিচ্ছেন।
মিউজিয়ামটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় গত বছর। কিন্তু করোনা মহামারির ধাক্কায় সাময়িক বন্ধ হয়ে যায় এটি। সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতি অনুকূলে আসায় সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হলো।
পুরো মিউজিয়ামটি ঘুরে দেখাতে সাহায্য করবেন একজন পেশাদার গাইড। এছাড়াও মিউজিয়ামের ভেতরে থাকা নানা জিনিসের ইতিহাস দর্শনার্থীদের কাছে তুলে ধরবেন একজন প্রত্নতত্ত্ববিদ। সাগরে অভিযানসংক্রান্ত নানা প্রাচীন জিনিসের সঙ্গে দর্শনার্থীদের পরিচয় করাবেন।
সাগরের তলদেশে এ মিউজিয়ামে ঘুরে বেড়ানোটা একটু ব্যয়বহুল। এই সৌন্দর্য দেখতে আপনাকে গুনতে হবে বাড়তি অর্থ। পুরো মিউজিয়ামটি একবার ঘুরে দেখতে দর্শনার্থীকে দিতে হবে ৯৫ ইউরো বা ১১০ ডলার। যা সাধারণ স্কুবা ডাইভিংয়ের চেয়ে প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি।
করোনাকালে গ্রিসের অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা সামলে নিতে পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে চায় দেশটির সরকার। সমুদ্রের নিচের এই জাদুঘর পর্যটকদের নজর কাড়বে বলে আশা করছেন গ্রিসের পর্যটনমন্ত্রী হ্যারি থিওহ্যারিস।