• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আজ আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০২১, ১০:৪২ এএম
আজ আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস

আজ আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস। প্রকৃতির অপরূপ দান পাহাড়-পর্বত সুরক্ষা করে প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আজ পালিত হচ্ছে ‘আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস’। প্রতিবছর ১১ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

জাতিসংঘভুক্ত সদস্য দেশগুলো ‘টেকসই পর্বত পর্যটন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে দিনটি পালন করছে। এ উপলক্ষে ঢাকাসহ দেশের পার্বত্য অঞ্চলে রয়েছে বিশেষ কর্মসূচি। পার্বত্য এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও টেকসই ভবিষ্যৎকে সামনে রেখে জাতিসংঘ ২০০৩ সালের ১১ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ২০১৬ সাল থেকে জাপানে দিবসটি উদযাপনে রাষ্ট্রীয় ছুটি থাকে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে দিবসটি।

এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেন, “বাংলাদেশের পার্বত্য এলাকার বৈচিত্র্যময় ভূপ্রকৃতি, নৈসর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পার্বত্য অধিবাসীদের বর্ণিল কৃষ্টি-ঐতিহ্য কেবল বাঙালিদের নয়, বিশ্ববাসীকেও প্রবলভাবে আকর্ষণ করে। প্রকৃতির সঙ্গে বসবাস করে পার্বত্য এলাকার জনগণ যেমন জীববৈচিত্র্যকে সংরক্ষণ করছে, তেমনই তারা পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।”

প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে বলেছেন, “২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে আওয়ামী লীগ সরকার শান্তিচুক্তির আলোকে পার্বত্য অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠন করেছি। এ অঞ্চলের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, অবকাঠামো, মোবাইল নেটওয়ার্কসহ সব খাতের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পার্বত্য জেলাগুলোর নৈসর্গিক সৌন্দর্য সমুন্নত রাখা ও পর্যটন শিল্পের প্রসারেও আমরা নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছি।”

বাংলাদেশের মোট ভূমির এক-পঞ্চমাংশ পাহাড়ি অঞ্চল। বিশেষ করে পূর্বাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আট ভাগ পাহাড়ি অঞ্চল অবস্থিত। বাকি দশ ভাগ অবস্থিত দেশের অন্যান্য অঞ্চলে। অর্থাৎ সিলেট অঞ্চলে বেশকিছু টিলা পাহাড় রয়েছে। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের লীলানিকেতন এই টিলা পাহাড় দেশি-বিদেশি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। অথচ পাহাড় কাটার কারণে বনাঞ্চল ধ্বংস হচ্ছে, ভূমিধসও ঘটছে। একই সঙ্গে পরিবেশ ভারসাম্য হারাচ্ছে, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব বাড়ছে। তাছাড়া পাহাড়-পর্বত ধ্বংসের কারণে নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হচ্ছে, জীববৈচিত্র্য বিনষ্ট হচ্ছে, পরিবেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পৃথিবীর মোট আয়তনের প্রায় ২২ শতাংশ পার্বত্য অঞ্চল, সেখানে প্রায় ১২ শতাংশ মানুষের বসবাস। পার্বত্য অঞ্চলই বিশ্বের ৬০-৮০ শতাংশ মিঠা পানির উৎস। পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের জীবন অত্যন্ত বৈচিত্র্যময়। পর্বতমালা, নদ-নদী, বহু প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণি এই অঞ্চলকে করেছে বৈচিত্র্যপূর্ণ।

 

Link copied!