গতকাল মঙ্গলবার গ্লাসগোর হ্যাম্পডেন পার্কে শেষ ষোলোর ম্যাচে সুইডেনকে ২-১ গোল ব্যবধানে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পা রেখেছে ইউক্রেন। অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচে জয়ের মাধ্যমে এই প্রথম ইউরোর কোনো আসরের নকআউট পর্বে তারা জয়ের স্বাদ পেল।
ইউক্রেন গ্রুপ পর্বে তৃতীয় হয়ে হিসাবের মারপ্যাঁচে উঠে এসেছিল শেষ ১৬ রাউন্ডে। ডাগ আউটে থাকা কোচ আন্দ্রে শেভচেঙ্কো খেলোয়াড় জীবনে ব্যালন ডি অর এবং এসি মিলানের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতলেও এবার কোচ হিসেবে দেখালেন কারিশমা। কোনো তারকা খ্যাতির খেলোয়াড় ছাড়াই কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে দলটি।
১৮তম মিনিটেই ফর্সবার্গের গোলে এগিয়ে যেতে পারত সুইডেন। কিন্তু হেড করতে ব্যর্থ হওয়ায় শেষ পর্যন্ত চেষ্টা ব্যর্থ হয়। তবে ২৭তম মিনিটে গোল করে বসেন জিনচেঙ্কো। গোলরক্ষক ওলসেনের হার ছুঁয়ে বল জালে জড়ালে এগিয়ে যায় ইউক্রেন। বিরতির আগেই অবশ্য সমতায় ফেরে সুইডেন। ফর্সবার্গের অসাধারণ শট প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় আটকানোর চেষ্টা করে, তবে বল দিক পরিবর্তন করে জালে জড়ায়।
অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কিছু সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি কোনো দলই। অতিরিক্ত মিনিটে খেলা গড়ায়, যেখানে মূল সমস্যায় পড়ে সুইডেন। ৯৯তম মিনিটে ইউক্রেনের আর্তেম বেসেদিনকে ফাউল করে আগেই হলুদ কার্ড দেখা মার্কাস ড্যানিয়েলসন দ্বিতীয় ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন। রেফারি এমন সিদ্ধান্তের আগে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির সাহায্য নিতেও কার্পণ্য করেননি। সেই দুর্ভাগ্যের সুফল উসুল করে ইউক্রেন, সেটিও অতিরিক্ত সময়ের ইনজুরি মিনিটে। তিন মিনিট সময়ের প্রথম মিনিটে সেই আর্তেমের গোলে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় তারা, যেখান থেকে ১০ জনের সুইডেনের ফেরা প্রায় অসম্ভব ছিল।
সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে আগামী শনিবার ইউক্রেনের প্রতিপক্ষ জার্মানিকে বিদায় করে দেওয়া ইংল্যান্ড।