ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ২০০৯ সালে টেস্ট সিরিজ জয়ের পর সবশেষ তিন সিরিজে ক্যারিবীয়দের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ দল। পুরো সিরিজে বোলিংয়ে আশা জাগালেও বাংলাদেশকে ভুগিয়েছে ব্যাটিং ইউনিট। তবুও দলের ব্যাটিং নিয়ে চিন্তিত নন টাইগার টেস্ট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
আগামী ডিসেম্বর মাসের আগে আর টেস্ট সিরিজ নেই বাংলাদেশের। তাই সাকিবের বিশ্বাস, ঘুরে দাঁড়াতে পারবে দল। এজন্য দলের কাছে তার চাওয়া মূলত মানসিক দৃঢ়তা তৈরি করা।
সোমবার (২৭ জুন) টেস্ট সিরিজ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সাকিব বলেছেন, ‘আমরা আগে থেকেই জানতাম টেস্ট সিরিজটি কঠিন হবে। লম্বা সময় পর আমরা ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ খেলবো। আশা করি আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবো। আমি ব্যাটিং নিয়ে চিন্তিত নই। মানসিকভাবে আমাদের দৃঢ় হতে হবে।’
টেস্ট সিরিজে হারলেও বাংলাদেশের পেস বোলিং বিভাগের উন্নতি চোখে লেগেছে সাকিবের। এই সিরিজের দুই ম্যাচে দশ উইকেট নিয়েছেন খালেদ আহমেদ। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে ভালো বোলিং করছেন এবাদত হোসেন, শরিফুল ইসলামরাও।
টেস্টের পর এবার ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে এবার তিনটি করে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ। সাদা বলের ক্রিকেটে দলের সদস্য হলেও সাকিব অধিনায়ক নন। তবে দলের খেলোয়াড়দের ওপর আস্থা রয়েছে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের। তাই তার বিশ্বাস, সাদা বলের দুই সিরিজে লড়াই জমবে।
সাকিবের ভাষ্য, ‘গত ৩-৪ বছরে আমরা এই বিভাগে (পেস বোলিং) সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছি। ম্যাচ জিততে হলে আমাদের দল হিসেবে পারফর্ম করতে হবে। সাদা বলে আমরা লড়াকু দল এবং আমরা নিশ্চিত সিরিজটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতে চলেছে।’
উল্লেখ্য, তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আগামী ২ জুলাই রাত সাড়ে ১১ টায় ডমিনিকায় মাঠে নামবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ ৩ ও ৭ জুলাই।