• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘সাকিবের অধিনায়কত্বে দুইটি ইতিবাচক দিক আছে’


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২২, ০৪:১০ পিএম
‘সাকিবের অধিনায়কত্বে দুইটি ইতিবাচক দিক আছে’
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে তৃতীয়বারের মতো অধিনায়কত্ব পেয়েছেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তার অধীনেই আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের টেস্ট সিরিজে মাঠে নামবে টাইগাররা। বাংলাদেশের সাবেক প্রধান কোচ ও বর্তমানে ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স শুরু থেকেই দেখছেন সাকিবকে। তার অধীনেই ২০০৯ সালে সর্বপ্রথম অধিনায়কত্ব পান তারকা এই অলরাউন্ডার।

শনিবার (৪ জুন) সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে সাকিবের অধিনায়কত্বের বিষয়ে সিডন্স বলেছেন, ‘‘আবারও তাকে (সাকিব) অধিনায়কত্ব তুলে দেওয়ায় দুইটি ইতিবাচক বিষয় ঘটেছে।’’

তরুণ সাকিবের অধিনায়কত্ব ভাবনা এবং বর্তমানের পরিণত সাকিবের অধিনায়কত্ব ভাবনা সম্পর্কে নিজের মতামত জানিয়ে টাইগার ব্যাটিং কোচ বলেছেন, ‘‘সাকিব খুব ভালো অধিনায়ক। খেলা নিয়ে ভাবনার জায়গাও সাকিব খুব ভালো। একইসঙ্গে সাকিব ধারাবাহিক পারফর্মার। সে অধিনায়ক হিসেবে দারুণ কিছুই করবে। সবাই তাকে অনুসরণ করে।’’

সিডন্সের চোখে অন্য ইতিবাচক দিকটি হলো মুমিনুলের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাট হাতে যাচ্ছেতাই পারফরম্যান্স ছিল এ বাঁহাতি টপঅর্ডারের। অধিনায়কত্বের দায়িত্ব থেকে মুক্তি পাওয়ায় এখন নিজের ব্যাটিং নিয়ে কাজ করতে পারবেন মুমিনুল, এমনটাই আশা সিডন্সের।

তিনি বলেছেন, ‘আরেকটা ভালো দিক হচ্ছে, মুমিনুল এখন ব্যাটিংয়ে মনোযোগী হতে পারবে। সে কিছুদিন ধরে রান পাচ্ছিল না। এখন সে ১০০ ভাগ মনোযোগ ব্যাটিংয়ে দিতে পারবে। তার পারফরম্যান্সটা আমাদের দরকার। আমরা জানি সে ভালো ক্রিকেটার। সেই ক্রিকেটার ফিরে আসুক, এটাই চাই। অধিনায়কত্বের চাপ যেহেতু থাকছে না, আশা করি সে স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে পারবে।’

সাকিবের অধিনায়কত্ব তিনি সিডন্স আরও বলেছেন, ‘সাকিব আগেও অধিনায়কত্ব করেছে। তার ওপর দলের সবার আস্থা আছে। বলছি না মুমিনুলের সেটা ছিল না। তবে সাকিব যা করে ক্রিকেটাররা সেটাই অনুকরণ করে। তার ফেরাটা তাই দারুণ খবর। আর মুমিনুল এখন তার নিজের খেলাটা খেলতে পারবে।’

২০১৯ সালে আইসিসির নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার পর টেস্ট ক্রিকেটে নিয়মিত দেখা যায়নি সাকিবকে। কখনও ব্যক্তিগত, কখনও পারিবারিক আবার কখনও চোটের কারণে এ বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার অনেক টেস্ট মিস করেছেন। তবে সিডন্সের বিশ্বাস, এখন থেকে নিয়মিতই খেলবেন টাইগারদের নতুন টেস্ট অধিনায়ক।

এ অস্ট্রেলিয়ান কোচ বলেছেন, ‘সে যদি অধিনায়কত্ব করতে চায়, তাহলে তাকে খেলতে হবে। না খেলে তো অধিনায়কত্ব করা যায় না। আমার মনে হয় সে আবারও অধিনায়ক হওয়ার বিষয়টিতে রোমাঞ্চিত। আমার মনে হয় সাকিবের নেতৃত্বগুণের দিকটা এখন আমরা দেখতে পাবো যেটা আমরা দীর্ঘদিন দেখিনি।’

Link copied!