ওপেনিং জুটিকে হারানোর পর দলের হাল ধরেছিলেন সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস। তবে সেই জুটিও বেশিক্ষণ টিকল না। লেগ স্পিনার কায়েস আহমেদের বলে মুজিবের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। এই উইকেটের ফলে দলীয় স্কোর পঞ্চাশ ছোয়ার আগেই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে বাংলাদেশ।
সাকিবও খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। কায়েস আহমেদের টসড আপ বলে সুইপ করতে গিয়ে টপ এজড হয়েছেন, তাতে ফাইন লেগে থাকা মুজিবের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয়েছে তাকে। ৪৭ রানে তিন উইকেট হারিয়ে এখন বিপদেই বাংলাদেশ।
দুই উইকেট হারিয়ে ৩৭ বাংলাদেশ
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশের দুই ওপেনার মুনিম ও মোহাম্মদ নাঈম। টি-টোয়েন্টি দলের অনুশীলনেও ছন্দে ছিলেন না মোটেও। আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি ছিল তার। সেই থেকেই হয়তো, ৩২ ম্যাচের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন নাঈম আজ শুরুতে স্ট্রাইক দিয়েছিলেন অভিষিক্ত মুনিম শাহরিয়ারকে।
ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই চার মেরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রানের খাতা খুলেন অভিষিক্ত মুনিম। তবুও শুরুর দুই ওভারে আসে মাত্র ১০ রান। এরপর আফগান পেসার ফজলহক ফারুকির বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়লে রিভিউ নেন আফগানরা। সেখানে আম্পায়ার তাকে আউট দিলে নাঈম শেখ ফিরেছেন সাজঘরে।
এরপর ইনিংসের চতুর্থ ওভারে মুজিবের বলে টানা দুই চার মেরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের জানান দিচ্ছিলেন। কিন্তু ইনিংসের পঞ্চম ওভারের শেষ বলে বিশ্বের সেরা স্পিনার রশিদ খানে বলে বিদায় নেন মুনিম। আউট হবার আগে ১৮ বল খেলে ১৭ রান করেন এই ব্যাটার।
বাংলাদেশ একাদশ: মুনিম শাহরিয়ার, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, লিটন দাস (উইকেটকিপার), সাকিব আল হাসান, আফিফ হোসেন, ইয়াসির আলি চৌধুরি, মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), শেখ মেহেদি হাসান, নাসুম আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান।
আফগানিস্তান একাদশ: হযরতুল্লাহ জাজাই, রহমানুল্লাহ গুরবাজ (উইকেটকিপার), নাজিবুল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবী (অধিনায়ক), রশিদ খান, আজমতুল্লাহ ওমরজাই, দরবেশ রাসুলি, করিম জানাত, ফজলহক ফারুকী, মুজিব উর রহমান ও কায়েস আহমেদ।