ঘরের মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেই করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ শনাক্ত হয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এজন্য আগামী ১৫ মে থেকে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হতে যাওয়া প্রথম টেস্টের দল থেকে সাকিবকে বাদ দিয়েছিল বিসিবি।
কিন্তু চট্টগ্রাম টেস্টের দিন দুয়েক আগেই নতুন করে করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ ফলাফল পেয়েছেন সাকিব। ফলে আজ সন্ধ্যার মধ্যেই দলের সঙ্গে যোগ দেবেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। সাকিবের করোনা থেকে সেরে ওঠায় গুঞ্জন উঠছে, তাহলে কি প্রথম টেস্টেও খেলবেন সাকিব?
.
জানা গেছে, মনে-প্রাণে প্রথম টেস্টটি খেলতে চান সাকিব। অন্যদিকে নিজেদের সেরা তারকার ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করতে চাইছে বিসিবি।
শুক্তবার (১৩ মে) দুপুরে চট্টগ্রামে টিম হোটেলে খেলোয়াড়দের সঙ্গে দেখা করে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
মাত্রই করোনা থেকে সুস্থ হওয়ায় সাকিবের ওপর বাড়তি কোনো চাপ দিতে চাইছেন না পাপন। এজন্য দেশসেরা এই ক্রিকেটারের সিদ্ধান্তের ওপর সব ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। তবে এর আগে সাকিবকে ফিটনেস টেস্ট পাড়ি দিতে হবে। এরপরই তার ফিটনেস টেস্ট ও তার শরীরের অবস্থা বিবেচনায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
পাপন জানান, ‘‘সাকিব গতকাল রাতেই জানিয়েছিল ও নেগেটিভ এসেছে। তবুও আমাদের প্রটোকল অনুযায়ী ওকে আজ আবার করোনা পরীক্ষা করিয়েছি। সেখানেও নেগেটিভ এসেছে ফলাফল। যেটা কিছুক্ষণ আগে জানতে পেরেছি।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘ওর সাথে কথা হয়েছিল যে নেগেটিভ হলে আসবে (চট্টগ্রাম)। তবে এখানে বিষয়টা হলো, ও কিন্তু অনুশীলনে নেই। আর ওর শরীরের কথা ২-৩ দিন আগেই বলেছিল ভালো আছে। এটি পুরোটাই যেহেতু স্বাস্থ্য বিষয়ক ইস্যু। তাই এখানে যারা মেডিকেল টিম আছে, ফিটনেস টিম আছে, তারা ওকে পরীক্ষা করবে।’’
তবে পুরো বিষয় নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে তা জানিয়ে পাপন বলেছেন, ‘হয়তো সাকিব খেলবে, নাও খেলতে পারে। এটা এখন বলাটা মুশকিল। ওর ওপরেও নির্ভর করছে, ওর ফিজিক্যাল ফিটনেসের বিষয় আছে। এখানে আবেগ দিয়ে ভাবা যাবে না। কারণ কোভিড থেকে রিকভার করেই নেমে পড়া সহজ নয়।’
‘এখানে খেলা যদি ওয়ানডে টি-টোয়েন্টি হতো, আমরা বলতাম খেলো। কিন্তু এখানে পাঁচদিনের খেলা। আমরা চাই না ওর জন্য কোনো বাড়তি চাপ বা বোঝা হোক। সেজন্য আমরা সাবধানতার পথে হাঁটবো। তবে ওর ওপর পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া আছে।’
সাকিব খেলতে চাইলে সবসময়ই স্বাগতম, এমনটি জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘সাকিব যদি খেলতে চায়, অবশ্যই খেলবে। ওকে তো না করার কোনো সুযোগ নেই। সাকিবের ইচ্ছার ওপরেই নির্ভর করছে। ওর ফিটনেস দেখা হবে। অনুশীলনের পর ট্রেইনার যদি ক্লিয়ারেন্স দিয়ে দেয় তাহলে নিশ্চিতভাবেই খেলবে।’
