সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে উইম্বলডনের আয়োজক সংস্থা অল ইংল্যান্ড লন টেনিস ক্লাব (এইএলটিসি) রাশিয়ান খেলোয়াড়দের নিষিদ্ধ করেছিল। তখন রাফায়েল নাদাল-অ্যান্ডি মারের মতো টেনিস তারকা থেকে শুরু করে সাধারণ টেনিসপ্রেমীরাও উইম্বলডনের সমালোচনা করেছিলেন।
এবার টেনিস বিশ্বের শীর্ষে থাকা দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন অফ টেনিস প্রফেশনালস (এটিপি) ও উইমেনস টেনিস অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউটিএ) উভয়ই ওই ‘বৈষম্যমূলক’ সিদ্ধান্তের জন্য উইম্বলডনকে শাস্তি প্রদান করেছে।
ওই দুই সংস্থা পৃথক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘‘রাশিয়ান খেলোয়াড়দের নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে উইম্বলডন এটিপি এবং ডব্লিউটিএ’র সঙ্গে করা র্যাঙ্কিং চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। তারা এইও বলছে, আগামী গ্র্যান্ড স্লামে রাশিয়ান খেলোয়াড়দের নিষিদ্ধ করার যে সিদ্ধান্ত অল ইংল্যান্ড লন টেনিস ক্লাব এবং লন টেনিস অ্যাসোসিয়েশন নিয়েছে সেটি ডব্লিউটিএ আইন, গ্র্যান্ডস্লাম আইন এবং গ্র্যান্ডস্লামগুলোর সঙ্গে করা ডব্লিউটিএর চুক্তির মৌলিক নীতিগুলোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’’
এটিপি এবং ডব্লিউটিএ’র শাস্তির ফলে আগামী মাসে শুরু হতে যাওয়া উইম্বলডনের এবারের আসরে খেলোয়াড়দের সাফল্য বা ব্যর্থতা বিশ্ব টেনিস র্যাঙ্কিংয়ে প্রতিফলিত হবে না। ফলে গ্র্যান্ডস্লাম এই টুর্নামেন্টের এবারের আসর তাই গুরুত্বের দিক দিয়ে সাধারণ প্রদর্শনী প্রতিযোগিতার পর্যায়ে নেমে যাবে।
উইম্বলডন কর্তৃপক্ষ এটিপি এবং ডব্লিউটিএ’র শাস্তি ঘোষণার পর এক বিবৃতিতে নিজেদের ‘গভীর হতাশা’র কথা ব্যক্ত করেছে। তবুও কোনো সমাধান হয়নি।
আগামী ২৭ জুন লন্ডনের অল ইংল্যান্ড লন টেনিস ক্লাবে শুরু থেকে এবারের উইম্বলডন, যা চলবে আগামী ১০ জুলাই পর্যন্ত।