লিওনেল মেসি দলে না থাকলেও ম্যাচ জেতা যায় তার প্রমাণ রেখেছিল আগের ম্যাচে ইন্টার মায়ামি। তবে, এক ম্যাচ পরেই দেখল মুদ্রার উল্টোপিঠ। আটলান্টা ইউনাইটেডের বিপক্ষে ৫-২ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটি। এতে মেজর সকার লিগের (এমএলএস) প্লে-অফে খেলা নিয়ে বড় ধাক্কা খেলো তারা।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে মার্সিডিজ-বেঞ্জ স্টেডিয়ামে আটলান্টার মুখোমুখি হয় মায়ামি। পুরো ফিট না থাকায় এই ম্যাচে ছিলেন না মেসি। তাকে ছাড়া প্রতিপক্ষের কাছে পাত্তাই পায়নি মিয়ামি।
যদিও ইন্টার মায়ামির শুরুটা আশা–জাগানিয়া ছিল। ২৫ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন ছন্দে থাকা লিওনার্দো কাম্পানা। এরপরই যেন পথ হারায় ফ্লোরিডার ক্লাবটি। বিরতিতে যাওয়ার আগেই হজম করে বসে তিন গোল।
বিরতি থেকে ফিরে পেনাল্টি থেকে এক গোল শোধ করে ম্যাচে ফেরার আশা জাগান কাম্পানা। কিন্তু সেই আশাকে আর বাস্তবতায় রূপ দিতে পারেনি মার্তিনোর দল। উল্টো ৭৬ ও ৮৯ মিনিটে আরও দুই গোল হজম করে তারা।
এই হারে এমএলএস ইস্টার্ন কনফারেন্স পয়েন্ট টেবিলে ১৪তম স্থানে রইলো মায়ামি। ২৭ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ২৮ পয়েন্ট। ৮ জয় ও ৪ ড্র’র বিপরীতে ১৫ ম্যাচে হেরেছে তারা।
এমএলএসের প্লে-অফে খেলতে হলে পয়েন্ট তালিকার সেরা নয়ে থাকতে হবে মায়ামিকে। তবে এর মধ্যে থাকা তাদের জন্য কঠিন। কারণ, মেসিদের হাতে আর মাত্র ৭ ম্যাচ বাকি আছে।
নবম স্থানে থাকা ডি সি ইউনাইটেডের চেয়ে এখনও ৭ পয়েন্ট পিছিয়ে মায়ামি। অবশ্য তাদের চেয়ে ২ ম্যাচ বেশি খেলেছে ডি সি।
লিওনেল মেসি দ্রুতই মাঠে ফিরবেন বলেন জানান মায়ামি কোচ মার্তিনো বলেন, “তারা আগামীকাল অনুশীলনে ফিরবে। আমরা প্রতিদিন তাদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করব। মেসির অনুশীলনের ব্যাপারে কোনো কিছু বদলাব না। আমাদের কোনো তাড়া নেই।”
মেসিকে ছাড়া এই হার যে ইন্টার মায়ামির জন্য বড় ধাক্কা, তাও মেনে নিয়েছেন মায়ামি কোচ। মার্টিনো বলেন, “এই হার আমাদের বড় ধাক্কা দিয়েছে। আমাদের সম্ভাবনা কমিয়েছে। কিন্তু এটা এখনো চূড়ান্ত নয়। আমরা অনেক পেছনে থেকে প্লে-অফের দৌড় শুরু করেছি। আমরা হাল ছেড়ে দেব না। কিন্তু আমাদের দৃষ্টি এখন ২৭ তারিখে (ইউএস ওপেন কাপ ফাইনাল)।”