ওয়ানডে সিরিজের মত টি-টোয়েন্টিতেও শেষ ম্যাচে স্বাগতিক বাংলাদেশকে হারাল আফগানিস্তান। দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে ৮ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়েছে মোহাম্মদ নবীর নেতৃত্বাধীন আফগান দল। এই হারে সিরিজ ১-১তে শেষ করল দুই দল।
শনিবার (৫ মার্চ) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রানেই থামে বাংলাদেশের ইনিংস।
জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ব্যাটিংয়ের মত ফিল্ডিংয়েও ছন্নছাড়া ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। যার ফলে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ১৪ বল আগেই টাইগারদের সংগ্রহকে টপকে যান আফগানিস্তানের ব্যাটাররা। ফলে টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের অপেক্ষা বাড়ল টাইগারদের।
অথচ আফগানদের রান তাড়া করতে নামলে ইনিংসের শুরুতেই দুর্দান্ত সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। নাসুম আহমেদের বল সজোরে খেলতে গিয়ে অনেক উঁচুতে বল তুলে দেন জাজাই। অনেক সময় পেলেও তা হাতে ধরে রাখতে পারেননি এই স্পিনার। এই হতাশার মধ্যেই বাংলাদেশ শিবিরে কিছুটা স্বস্তি এনে দেন শেখ মেহেদী হাসান। আরেক ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজকে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ দিয়ে ৫ বলে ৩ রানে সাজঘরে ফেরান এই অফস্পিনার।
এরপর বাংলাদেশি ফিল্ডারদের একাধিক ভুলের সুযোগ নিয়ে আফগানদের ইনিংসকে টেনে তোলেন জাজাই আর ঘানি। দ্বিতীয় উইকেটে দুই জন মিলে করেন ৯৯ রানের জুটি। মূলত এই জুটিতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ দল। শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহ বোলিংয়ে এসে ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট করা গনিকে বিদায় করেন। গনির ব্যাট থেকে আসে ৫টি চার ও ১ ছয়ে ৪৮ বলে ৪৭ রানের ইনিংস।
অন্যপ্রান্তে অর্ধশতকের স্বাদ পান জাজাই। শেষপর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৪৫ বলে ৫৯ রানে। ৩টি চারের সঙ্গে ৫টি ছক্কা হাঁকান তিনি। সঙ্গে দারউইশ রাসুলির ৮ বলে অপরাজিত ৯ রানের কল্যাণে ৮ উইকেটের বিশাল জয় পায় আফগানরা।
বাংলাদেশের হয়ে মেহেদী আর মাহমুদউল্লাহ ১টি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে চার ব্যাটারের দুই অঙ্কের স্কোরে মাত্র ১১৫ রানেই থামে বাংলাদেশিরা। দলের পক্ষে সর্বোর্চ ৩০ রান করেন শততম ম্যাচে খেলতে নামা মুশফিক। এছাড়া অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ২১ ও লিটন দাস করেন ১৩ রান।
আফগানদের হয়ে পেসার ফারুকি আর আজমতউল্লাহ সমান ৩টি করে উইকেট নেন। এছাড়া দুই স্পিনার মোহাম্মদ নবী ও রশিদ খান নেন একটি করে উইকেট।
ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিন উইকেট নেয়া আফগান পেসার আজমতউল্লাহ। আর সিরিজ সেরা হয়েছেন ফজল হক ফারুকী।