• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাংলাদেশ কি পারবে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে?


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২২, ০৪:১০ পিএম
বাংলাদেশ কি পারবে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে?
ছবি সংগৃহীত

গত ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ওয়ানডের পাশাপাশি টি-টোয়েন্টিতে সিরিজেও জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে এবারের ক্যারাবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ সফরে এসে টেস্টে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে হেরে গেছে সফরকারীরা। এবার টি-টোয়েন্টিতেও হোয়াইটওয়াশের শঙ্কার মধ্যে রয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। তাই সিরিজ সমতায় শেষ করতে জয়ের বিকল্প নেই টাইগারদের সামনে।    

ডোমিনিকায় তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়ে যায়। পরদিন দ্বিতীয় ম্যাচে সাকিব আল হাসানের অপরাজিত ফিফটির পরও ৩৫ রানে বাংলাদেশ। এই হারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দলের সিরিজ জয়ের সম্ভাবনা শেষ হয়েছে। তাই আজ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে জয় পেতে চায় বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১টায় শুরু হবে দুই দলের লড়াই। ম্যাচের আগে বাংলাদেশের সমর্থকদের মনে প্রশ্ন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল কী তা পারবে?

ম্যাচে দল হয়ে সকলে মিলে পারফর্ম করে ব্যাটিং ও বোলিংয়ে ঔজ্জ্বল্য ছড়ানোর তাগিদ দিচ্ছেন সবাই। অনেকের মতো বাংলাদেশ জাতীয় দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনও সে তাগিদই দিয়েছিলেন। বাশার বলেছিলেন, ‘আমরা এখনো তেমন দল হয়ে উঠিনি যে দু’একজনের অতি উঁচু মাপের পারফরমেন্স দিয়ে বাজিমাৎ করবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের ভাল করতে হলে সবাইকে ভাল খেলতে হবে। সবার কার্যকর পারফরমেন্স দিয়েই জিততে হবে; কিন্তু এ সিরিজে তার কিছুই হয়নি। যেটা হয়েছিল ৪ বছর আগে।’’

বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়ে যাওয়া প্রথম ম্যাচে শ্রী-হীন ব্যাটিংয়ের পর পরের ম্যাচেও আলগা বোলিং এবং দায়িত্ব ও লক্ষ্যহীন ব্যাটিং করেছেন সবাই। অধিনায়ক রিয়াদও সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারছেন না। বোলিংও করছেন না। ব্যাট হাতেও ভূমিকা রাখা সম্ভব হচ্ছেনা। যা করার করছেন সাকিব একাই।

সাকিবের ব্যাট থেকেই কেবল একটি হাফ সেঞ্চুরি (৫২ বলে ৬৮) বেরিয়ে এসেছে। বাকিদের মধ্যে শুধু আফিফ হোসেন ধ্রুবই (২৭ বলে ৩৪) তিরিশের ঘরে পা রেখেছেন। এছাড়া প্রথম ম্যাচে উইকেটরক্ষক কাম মিডল অর্ডার সোহান ২৫ রান করেছিলেন।

বোলারদের মধ্যে বিশেষ করে পেসাররাও হালে পানি পাচ্ছেন না। ব্যাটিং সহায়ক পিচে কোনো লাইন ও লেন্থে বল ফেলবেন, তা ঠিক করতে করতেই ৪ ওভারের কোটা শেষ হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে দ্বিতীয় ম্যাচে তিন পেসার তাসকিন (৩ ওভারে ৪৬), মোস্তাফিজ (৪ ওভারে ১/৩৭) ও শরিফুল (৪ ওভারে ২/৪০) - তিনজন মিলে ১১ ওভারে দিয়েছেন ১২৩ রান।

ব্যাটিং এবং বোলিং দুই ডিপার্টমেন্টেই অনুজ্জ্বল পারফরমেন্স। এ অনুজ্জ্বলতা কাটিয়ে পারফরমেন্সের গ্রাফকে ওপরে টেনে তুলতে না পারলে জয়ের প্রশ্নই আসে না।

সে কাজটি করতে হবে আগে। ব্যাটারদের নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য ঠিকমত পালন করতে হবে। তাদের ব্যাটে রান চাই। আর বোলারদের বিশেষ করে পেসারদের বোলিং কার্যকরিতাও খুব দরকার। ক্যারিবীয়রা হাত খুলে খেলতে পছন্দ করে। আক্রমণাত্মক উইলোবাজি এবং ভাল বলকে যেখানে খুশি মারার ক্ষমতাও আছে বেশ। তাদের বিপক্ষে পেস নির্ভরতা কমিয়ে স্পিন শক্তি বাড়ানোর চিন্তাটাও যে খুব জরুরি। এ কাজগুলো ঠিকমত হলে শেষ ম্যাচে ভাল কিছু হতেও পারে।

Link copied!