ফ্রান্সের হয়ে খেলার প্রস্তাব পেয়েছিলেন হিগুয়েন

আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রয়েছেন স্ট্রাইকার গঞ্জালো হিগুয়েন। বিশ্বকাপে আলবিসেলেস্তেদের হয়ে সবশেষ হ্যাটট্রিকও এসেছে তার পা থেকেই। লিওনেল মেসির এক সময়ের সতীর্থ হিগুয়েন সাদা-আকাশী জার্সিতে ৩টি বিশ্বকাপ ও ৪ টি কোপা আমেরিকায় খেলেছেন।

নিজের সেরা সময়ে বিশ্বের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার হিসেবে রিয়াল মাদ্রিদ, নাপোলি, এসি মিলান, জুভেন্টাস কিংবা চেলসির মতো নামকরা সব ক্লাবে খেলেছেন। সেই হিগুয়েনই এবার নতুন এক তথ্য জানিয়ে বোমা ফাটালেন। যেখানে উঠে এসেছে ফ্রান্সে খেলার প্রস্তাব পেয়েও তা ফিরিয়ে দেয়ার প্রসঙ্গও।

সম্প্রতি লিব্রোটিওয়াইসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ৩৪ বছর বয়সী হিগুয়েন বলেন, ‘‘ফ্রান্সের হয়ে খেলার প্রস্তাব এসেছিল। তাদের দলে তখন হেনরি, জিনেদিন জিদান, প্যাট্টিক ভিয়েরা এবং দিদিয়ের দেশমের মতো একঝাঁক তারকা ফুটবলার ছিল। কিন্তু আমি আমার মনের বিরুদ্ধে যেতে পারিনি। আমি চেয়েছিলাম আর্জেন্টিনার হয়ে খেলতে।’’

হিগুয়েন বলেন, ‘‘আমি দশ মাস ফ্রান্সে ছিলাম। আর আর্জেন্টিনায় কাটিয়েছি ১৮টি বছর। আলবিসেলেস্তেদের হয়ে ৩টি বিশ্বকাপ, ৪টি কোপা আমেরিকা খেলেছি। দশ বছর দলের সঙ্গে ছিলাম।’’

২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে ফাইনালে উঠেছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু জার্মানির বিপক্ষে ফাইনালে হিগুয়েন সহজ একটি গোলের সুযোগ নষ্ট করেছিলেন। যার কারণে শিরোপা হাতছাড়া হয় লাতিন আমেরিকার পরাশক্তি দেশটির। আর এই হারের জন্য হিগুয়েনকেই দায়ী করেছিল আর্জেন্টিনার সমর্থকরা।

গোল মিস করা নিয়ে হিগুয়েন বলেছিলেন, ‘মানুষ গোল মিস করাটাই মনে রেখেছে। কিন্তু আমি যে গোল করেছি তা মনে রাখেনি। আমি নিশ্চিত কোয়ার্টার ফাইনালে বেলজিয়ামের বিপক্ষে করা আমার একমাত্র গোলটা সবাই উদ্‌যাপন করেছিল।’

২০১৮ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে ফ্রান্সের কাছে হারের পর আর্জেন্টিনা দলে আর সুযোগ পাননি হিগুয়েন। এরপর অভিমানে অবসরই নিয়ে ফেলেন তিনি।

এদিকে, মেসি সম্পর্কে হিগুয়েন বলেন, আমি আমার ক্যারিয়ারে মেসি এবং রোনালদো দুজনের সঙ্গেই খেলেছি। একজন বেছে নিতে বললে অবশ্যই মেসিকে নেবো।

উল্লেখ্য, ফ্রান্সের ব্রেস্ট শহরে ১৯৮৭ সালের ১০ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন হিগুয়েন। এরপর ২০০৯ সালে আর্জেন্টিনার জার্সিতে অভিষেক হয় তার। জাতীয় দলের হয়ে ৭৫ ম্যাচের ক্যারিয়ারে ৩১ গোল করেছেন তিনি। আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনার চেয়ে মাত্র ৩ গোল কম করে দেশটির সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রয়েছেন এই স্ট্রাইকার।