আর্জেন্টিনার রোজারিও শহরের ছোট সেই ফুটবল জাদুকর এখন ৩৫ বছরের পরিণত তারকা। আজ ২৪ জুন আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসির ৩৫তম জন্মদিন।
স্রষ্টা প্রদত্ত প্রতিভার অধিকারী ফুটবলার মেসি ২০২১ সালের গ্রীষ্মে বার্সেলোনা থেকে ফরাসি ক্লাব প্যারিস-সেইন্ট-জার্মেইয়ে যোগ দেন। অনেকের দৃষ্টিতেই মেসি ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ ফুটবলার। তিনি তার সহজাত ড্রিবলিং, পাসিং কৌশল এবং গোল করার ক্ষমতার কারণে বিখ্যাত।
ফুটবলের জাদুকর অসংখ্য রেকর্ড ভেঙেছেন এবং বিশ্বের সবচেয়ে সমৃদ্ধ খেলোয়াড়দের একজন। বার্সেলোনার বিখ্যাত যুব একাডেমি লা মাসিয়ার সদস্য মেসির ১৭ বছর বয়সে সিনিয়র দলে অভিষেক ঘটে।
মেসি আর্জেন্টিনাকে ফিফা বিশ্বকাপ ২০১৪ সালের ফাইনালে পৌঁছে দিয়েছিলেন। ২০২১ সালের কোপা আমেরিকা জিতে জাতীয় দলের ট্রফির জন্য তার দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়েছেন।
লিওনেল মেসি রেকর্ড সাতবার ব্যালন ডি’অর পুরস্কার জিতেছেন। বার্সেলোনা দলের সাথে থাকাকালীন ২০০৯ সালে দলের ট্রেবল জয়ের পর তিনি তার প্রথম ব্যালন ডি’অর পুরস্কার জিতেছেন। তাছাড়া ২০১০, ২০১১, ২০১২ সালে জিতে টানা চারবার ব্যালন ডি’অর ট্রফি ঘরে তোলেন।
মেসি, সুয়ারেজ, নেইমার ত্রয়ী দ্বিতীয় ট্রেবল জয় করেন ২০১৫ সালে। এই মৌসুমে মেসি তার পঞ্চম ব্যালন ডি`অর জয় করেন। তবে ষষ্ঠ ব্যালনের জন্য তাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২০১৯ সাল পর্যন্ত। ২০২১ সালে তিনি তার রেকর্ড সপ্তম ব্যালন জয় করেন।
বার্সেলোনার হয়ে সব প্রতিযোগিতায় ৭২৪টি ম্যাচে মেসি ৬৩০টি গোল করেছেন। প্রতি ম্যাচে গড় গোল ০.৮৭। তিনি স্প্যানিশ জায়ান্টদের মধ্যে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা। তিনি স্পেনের শীর্ষ লিগ লা লিগায় ৪৪৩টি গোল করেন।
মেসির নামের পাশে ৮৬টি আন্তর্জাতিক গোল। মেসি আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে সর্বকালের গোলদাতার মধ্যে শীর্ষস্থানে আছেন। এর মধ্যে ছয়টি গোল এসেছে ফিফা বিশ্বকাপে এবং নয়টি করেছেন কোপা আমেরিকা টুর্নামেন্টে। ২০২১ সালে কোপা আমেরিকার ফাইনাল মঞ্চে ব্রাজিলকে হারিয়ে মেসি তার পেশাদার জীবনে আন্তর্জাতিক ট্রফির খরা কাটিয়েছেন।
২০১৯ সালের জুন মাস থেকে মেসির আর্জেন্টিনা টানা ৩৩ ম্যাচ অপরাজিত। ফেভারিট দল হিসেবেই এবার কাতার বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে মেসি বাহিনী। শিরোপার জোরালো দাবিদারও শৈল্পিক ফুটবল উপহার দেওয়া মেসির নেতৃত্বাধীন আর্জেন্টিনা।