করাচিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া দুই দফা ইনিংস ঘোষণা দিয়ে বেশ ফুরফুরে মেজাজেই ছিল। কিন্তু নিশ্চিত হারের ম্যাচে আবদুল্লাহ শফিক, বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ম্যাচ নিজেদের দখলে নিয়ে ড্র করেছে পাকিস্তান।
করাচিতে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। তাদের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে দলের ৮২ রানে। ডেভিড ওয়ার্নার ৩৬ রানে বিদায় হন। ৯১ রানে মারনাস ল্যাবুসচেন ফিরে গেলে আরেক ওপেনার ওসমান খাজা ও স্টিভেন স্মিথ দলকে শক্ত অবস্থানে পৌঁছে দেন।
ওসমানের ব্যাট থেকে আসে ১৬০ রান। অন্যদিকে, স্মিথ যোগ করেন ৭২ রান। তিনি বিদায় হলে অ্যালেক্স ক্যারি দলে ভূমিকা রাখেন। শতক থেকে মাত্র ৭ রান দূরে থাকতে তিনি আউট হন। ৯ উইকেটে ৫৫৬ রানে অস্ট্রেলিয়া ইনিংস ঘোষণা করে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে একের পর এক উইকেটের পতনে পাকিস্তান এলোমেলো হয়ে যায়। ১৪৮ রানে গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। পাক ব্যাটারদের কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান আসে বাবর আজমের (৩৬) ব্যাট থেকে। তাদের ইনিংস থামে ১৪৮ রানে। মিচেল স্টার্ক পাকিস্তানের ৩ উইকেট তুলে নেন।
তৃতীয় দিনে পাকিস্তানকে ফলো অনে ব্যাটিংয়ে না পাঠিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে আবার ব্যাট করতে নামে অস্ট্রেলিয়া। দলের সাথে ২ উইকেটে মাত্র ৯৭ রান যোগ করে দ্বিতীয় দফায় ইনিংস ঘোষণা করে তারা। উসমান খাজা ও মারনাস ল্যাবুসচেন দুজনই ৪৪ করে রান করেন। উসমান খাজা অপরাজিত ছিলেন।
চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে পাকিস্তান দলের মাত্র ২ রানে ওপেনার ইমাম-উল-হক নাথান লায়নের বলে ফিরে যান। দলের ২১ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে। এরপরই পাকিস্তানের পরিচিত দৃশ্য দেখা যায়। ব্যাটারদের আগ্রাসী ভূমিকায় পাত্তা পাননি অজি বোলাররা।
ওপেনার সফিক ৯৬ রান করে আউট হলে দলের তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটে। মূলত অধিনায়ক বাবরের ১৯৬ রানের ইনিংসের কারণে অস্ট্রেলিয়ার মুঠোয় থাকা ম্যাচটা হাতছাড়া হয়ে যায়। রিজওয়ানও শতক (১০৪) তুলে নেন। প্রথম ইনিংসে ১৪৮ রানে গুটিয়ে যাওয়া পাকদের দ্বিতীয় ইনিংস পঞ্চম দিনশেষে ৭ উইকেটে ৪৪৩ রান।
নাথান লায়ন পাকিস্তানের ৪ উইকেট তুলে নেন। বাবর আজম ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন।