ত্রিদেশীয় সিরিজ ও বিশ্বকাপ খেলতে বাংলাদেশ দল এখন নিউজিল্যান্ড। ‘এ’ দলের সফর ভারতে। দুইটি দল দেশের বাইরে থাকায় জাতীয় লিগের তাই শুধুই হাহাকার। তারকাশূন্য এই লিগের প্রথম দিনে সবগুলো ম্যাচেই ছিল বোলারদের আধিপত্য। মোহাম্মদ নাঈম শেখ ফিরেছেন রানের খাতার খোলার আগেই। আর অধিনায়ক তামিমের ব্যাট থেকে এসেছে ৩১ রান।
সোমবার (১০ অক্টোবর) জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে প্রথম স্থরের ম্যাচে মুখোমুখি হয় সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগ। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সিলেটের নাবিল সামাদ ও নাঈম আহমেদের বোলিং তোপে ১৪১ রানে থামে চট্টগ্রামের ইনিংস। দলীয় সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন তামিম ইকবাল। সিলেটের হয়ে ৪৭ রানে ৫ উইকেট নেন নাবিল সামাদ ও তিন উইকেট নেন নাঈম আহমেদ। ১৪১ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৫ রান তুলেছে সিলেট।
মিরপুরে প্রথম স্থরের আরেক ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল রংপুর ও ঢাকা। ঢাকার সুমন খানের বোলিং তোপে মাত্র ৯২ রানে গুটিয়ে যায় রংপুর। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন রংপুরের আরিফুল হক। ঢাকার হয়ে সুমন খান ২৫ রানে শিকার করেন ৫ উইকেট।
জবাবে ৫ উইকেট হারিয়ে ১২২ রান তোলে ঢাকা বিভাগ। দুই অপরাজিত ব্যাটার তাইবুর রহমান ও নাদিফ চৌধুরী দুইজনই ৩০ রানে অপরাজিত আছেন। রংপুরের হয়ে ২৮ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন মুশফিক হাসান।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় স্থরের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ১৩১ রানে অলআউট হয় খুলনা বিভাগ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন নাহিদুল ইসলাম। ঢাকা মেট্রোর হয়ে ২৮ রানে ৪ উইকেট নেন মানিক খান। কাজী অনিক ও শরিফুল্লাহ দুইটি করে উইকেট শিকার করেন।
খুলনার ১৩১ রানের জবাবে ঢাকা মেট্রো ৩ উইকেটে তুলেছে ৩৭ রান। ঢাকা মেট্রোর নাঈম শেখ কোনো রান করেই ফেরেন প্যাভিলিয়নে। আরেক ওপেনার শামসুর রহমান ২০ ও আমিনুল ইসলাম ৭ রানে দিন শেষ করেছেন।
রাজশাহীতে শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে এদিন রানের দেখা মিলেছে। স্বাগতিক রাজশাহীর বিপক্ষে ৯ উইকেটে ২৬৯ রান তুলেছে বরিশাল বিভাগ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেন আবু সায়েম। ৫৬ রান আসে সোহাগ গাজীর ব্যাট থেকে। ৪৩ রান করে অপরাজিত থাকেন তানভীর ইসলাম। ৩৭ রান করেন রাফসান আল মাহমুদ।
রাজশাহীর পক্ষে ৩৬ রানের খরচায় ৪টি উইকেট পান নাহিদ রেজা। ২টি শিকার সানজামুল ইসলামের।