চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল) চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব ও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ম্যাচটি হতে পারত শিরোপা নির্ধারণী। এই বাড়তি উত্তেজনা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনাকে ইমরুল কায়েসের শেখ জামাল বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে এক ম্যাচ আগেই শিরোপা নিশ্চিত করেছিল। ফলে নিয়ম রক্ষার ম্যাচে চ্যাম্পিয়নদের উড়িয়ে দিয়েছে রানার্সআপ মাশরাফি-সাকিবরা।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রূপগঞ্জের ডানহাতি পেসার আল আমিন হোসেনের বোলিং তোপে শেখ জামাল মাত্র ১১৬ রানে অলআউট হয়। রান তাড়ায় মাত্র ২৫.১ ওভারেই ২ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জিতে নিয়েছে মাশরাফি-সাকিবরা।
ম্যাচে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। ব্যাট করতে নেমে পেসার আল আমিন হোসেনের রীতিমত তোপের মুখে পড়ে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। প্রথম ওভারেই পরপর দুই বলে ওপেনার সৈকত আলি এবং ওয়ানডাউনে নামা জহুরুল ইসলামকে সাজঘরে ফেরান আল আমিন।
এরপর অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে ৬৪ রানের জুটি গড়েন ইমরুল। তবে ৪৮ বলে ২৫ রান করে মুশফিক আউট হয়ে যান। এরপর ইমরুল রানআউটের কবলে পড়েন ৭৫ বল খেলে ৫০ রান করে। পরে একমাত্র নুরুল হাসান সোহানের ১৫ রান ছাড়া কেউ দুই অংকের ঘরও স্পর্শ করতে পারেননি।
জাতীয় দলের সাবেক পেসার আল আমিন হোসেনের বোলিং আগুনে পুড়ে ছারখার চ্যাম্পিয়ন শেখ জামালের মাত্র ১১৬ রানে অলআউট হয়ে গেছে। ৮.৪ ওভার বল করে ৩১ রানে ৬ উইকেট তুলে নেন আল আমিন। ২ উইকেট নিয়েছেন ভারতীয় রিক্রুট চিরাগ জানি ও ১ টি শিকার সাকিবের।
রান তাড়া করতে নেমে রূপগঞ্জের রকিবুল হাসান ৪০, সাব্বির রহমান ৩৬, নাইম ইসলাম ২৩ ও ইরফান শুক্কুর করেছেন ১৪ রান করে মাত্র ২৫.১ ওভারেই ৮ উইকেট হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নিয়েছে মাশরাফি-সাকিবরা। এবারের আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮৫৯ রান করে থামলেন নাইম ইসলাম।
রূপগঞ্জের কাছে হারলেও ডিপিএলের শেষ ম্যাচ হওয়ায় এদিনই শেখ জামালের হাতে শিরোপা তুলে দেওয়া হয়। বিপিএলের পর ডিপিএলেও দলকে শিরোপা জেতালেন ইমরুল কায়েস। এতে হারা ম্যাচেও মুশফিকুর রহিম, নুরুল হাসান সোহানদের মুখে হাসি থাকলেও মাশরাফিদের সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে রানার্সআপ হয়ে।