শক্তিশালী ওয়ানডে দল হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশকে মাটিতে নামিয়ে আনলেন সিকান্দার রাজা আর রেজিস চাকাভা। এ যেন প্রথম ম্যাচেরই পুনরাবৃত্তি। বাংলাদেশর দেওয়া বড় টার্গেট তাড়ায় নেমে শুরুতে বিপর্যয়; পরে দারুণ জুটিতে জয় পাওয়া।
রোববার (৭ আগস্ট) হারারে স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৫ উইকেটের এই জয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করল জিম্বাবুয়ে। এতে ৯ বছর পর বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতল জিম্বাবুয়ে।
খেলার শুরুতে তৃতীয় বলেই প্রথম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। এক বছর পর দলে ফেরা পেসার হাসান মাহমুদের বলে মুশফিকের তালুবন্দি হন তাকুদজোয়ানাশে কাইতানো (০)। ফিরতি ওভারে হাসান মাহমুদ তুলে নেন প্রথম ম্যাচের অন্যতম নায়ক সেঞ্চুরিয়ান ইনোসেন্ট কাইয়াকে (৭)। স্বাগতিকদের তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটান মেহেদি মিরাজ। তার বলে ওয়েসলি মাধভেরে (২) লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়লে ২৭ রানে ৩ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। উইকেটে আসেন সিকান্দার রাজা। ইনিংসের ১৫তম ওভারের বোলিংয়ে এসেই শিকার ধরেন তাইজুল। ফেরান ৪২ বলে ২৫ রান করা মারুমানিকে। এতে জিম্বাবুয়ের চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে ৪৯ রানে।
এরপর অধিনায়ক রেজিস চাকাভাকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ান সিকান্দার রাজা। হাত খুলে মারতেও শুরু করেন। ২৪.৩ ওভারে একশ ছাড়ায় জিম্বাবুয়ের স্কোর। ব্যক্তিগত ৪৩ রানে মিরাজের ভুলে জীবন পাওয়া রাজা ৬৭ বলে ফিফটি পূরণ করেন। আর বিধ্বংসী মেজাজে চাকাভা ফিফটি পূরণ করেন ৩৬ বলে।
ম্যাচের এমন অবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাকফুটে চলে যায়। তাসকিনের করা ৩০তম ওভারে চার বাউন্ডারিতে ১৮ রান নেন চাকাভা। ৩৮তম ওভারে দুইশ ছাড়ায় জিম্বাবুয়ের স্কোর। এরপর ১১৫ বলে টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন সিকান্দার রাজা। এর পরপরই হাসান মাহমুদকে ছক্কা মেরে ৭৩ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন চাকাভা। ১৬৮ বলে ২০১ রানের এই জুটির অবসান হয় ৭৫ বলে ১০ চার ২ ছক্কায় ১০২ রান করা চাকাভার বিদায়ে।
চাকাভার আউট হওয়ার সময় তাদের রানের তেমন তাড়া ছিল না। মাত্র ৪১ রান দূরে ছিল আফ্রিকার দলটির। ও পাশে থাকা রাজা বাকী কাজটি নিজের মতো করে। তার সঙ্গে অপর প্রান্তে ছিল টনি মুনিয়ঙ্গা। ১২৭ বলে ৮ চার এবং ৪ ছক্কায় ১১৭* রানে অপরাজিত থাকেন রাজা। আর অভিষিক্ত মুনিয়াঙ্গা ১৬ বলে ২ চার ২ ছক্কায় অপরাজিত ৩০* রান করে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
এতে ১৫ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় জিম্বাবুয়ে।