শ্রীলঙ্কায় চলমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের কারণে এশিয়া কাপ আয়োজন করতে পারবে না বলে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলকে (এসিসি) জানিয়ে দিয়েছে লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড।
এসিসির একটি সূত্র বলেছে, ‘শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট জানিয়েছে যে, তাদের দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে, বিশেষ করে যখন বৈদেশিক মুদ্রার বিষয়ে উদ্বিগ্ন, তখন দেশে ছয় দলের এই বড় ইভেন্টটি আয়োজন করা তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।’
তবে দেশটি সংযুক্ত আরব আমিরাতে টুর্নামেন্টটি আয়োজন করতে আগ্রহী। তবে সেখানে না হলে ভারতের পাশে অন্য কোনো দেশেও এশিয়া কাপ হতে পারে বলে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
সেক্ষেত্রে এশিয়া কাপ আয়োজনে সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হচ্ছে বাংলাদেশের নাম। বাংলাদেশের ক্রিকেট অনুরাগীরাও টুর্নামেন্টটি দেশের মাটিতে হবে বলে আশায় বুক বাঁধছেন। এই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রাণচাঞ্চল্য, বাংলাদেশে কি হতে পারে এশিয়া কাপের পরবর্তী আসর?
এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) দুপুরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজনের কাছে গণমাধ্যমকর্মীরা প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বিষয়টি কিছুটা এড়িয়ে যান তিনি।
তিনি বলেন, ‘প্রথমত আমরা এখন পর্যন্ত বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানি না। এসিসি কিংবা লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড থেকে আমরা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানতে পারিনি। যেহেতু আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি অবগত হইনি এখনও, তাই এ সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য বা বিবৃতি দেয়াও সমীচীন নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘সত্যিই শ্রীলঙ্কা যদি তাদের দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে এশিয়া কাপের আয়োজক হতে অপারগতা প্রকাশ করে, তাহলে বিষয়টি নিয়ে এশিয়ার সব ক্রিকেট খেলুড়ে দেশের সঙ্গে বসে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল। কেবল তখনই আমাদের চিন্তাভাবনা বা বক্তব্য দেওয়ার অবকাশ থাকবে। এখন কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত না করাই উত্তম।’
তবে কি বাংলাদেশ আগ্রহী নয় আয়োজক হতে? বিসিবি সিইওর কূটনৈতিক জবাব, ‘এশিয়ায় তো আরও ক্রিকেট খেলুড়ে দেশ আছে। তারাও নিশ্চয়ই আয়োজক হতে চাইবে। দেখা যাক এসিসি কি বলে!’
তবে ভেতরের খবর, বাংলাদেশ এশিয়া কাপ আয়োজনে আগ্রহী। কারণ হিসেবে অতীত ইতিহাসও বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলছে। ২০১২ থেকে পর পর তিনবারের এশিয়া কাপের আয়োজক ছিল বাংলাদেশ। সাফল্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে সুনামও কুড়িয়েছিল বিসিবি।
তাই আরও একবার সেই সুযোগ আসলে লুফে নিতে পারে বিসিবি। কেননা এশিয়া কাপের আসর বাংলাদেশে হলে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি স্বাগতিক হিসেবে টাইগাররাও বাড়তি সুবিধা পাবে।