• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অন্ধ হওয়ার পথে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ তরুণ ক্রিকেটার


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২৪, ০৭:০১ পিএম
অন্ধ হওয়ার পথে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ তরুণ ক্রিকেটার
সাকিব মাহমুদউল্লাহ। ছবি : সংগৃহীত

সাকিব আল হাসান ও মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদের নামের অংশ নিয়ে তার নাম। তিনি উদীয়মান ক্রিকেটার সাকিব মাহমুদ উল্লাহ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিয়ে চোখে গুলিবিদ্ধ হয়ে এখন প্রায় অন্ধ হওয়ার পথে। তিনি যে কেবল চোখের আলো হারাতে বসেছেন তাই নয়, তার সঙ্গে মুছে যাচ্ছে ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্নও। খবর বাসস

রংপুর কারমাইকেল কলেজের অনার্স ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র সাকিব(২০)।  জেলার সৈয়দপুর উপজেলার কাজীপাড়া নিবাসী আকবর আলী ও  আছিয়া খাতুন দম্পতির পুত্র তিনি। পেশায় মাংস ব্যবসায়ী আকবর আলী ভালোবাসেন ক্রিকেট। ছোট ছেলে সাকিবের মাধ্যমে সেই ভালোবাসাকে পূরণের স্বপ্ন দেখছিলেন আকবর আলী।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন সাকিব। ১৮ জুলাই সৈয়দপুরে বন্ধুদের সঙ্গে মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন। হঠাৎ মিছিলে পুলিশ গুলি করলে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানসহ দুই চোখে গুলি লাগে। সঙ্গে থাকা বন্ধুরা তাকে উদ্ধার করে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করান। এরপর রংপুর ও ঢাকার একটি বেসরকারি চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। কিন্তু বাম চোখে আর আলো ফিরে আসেনি। এখন ডান চোখেও পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছেন না। আন্দোলনে সরকার পতনের পর দেশের মানুষ সুফল পেতে শুরু করলেও দিনে দিনে অন্ধকার হয়ে আসছে সাকিবের পৃথিবী।

সাকিব বলেন, দান হিসেবে কোন টাকা পয়সা চাই না, শুধু চিকিৎসা সহযোগিতা চাই, চোখের আলো ফেরত চাই। আবার ক্রিকেটের মাঠে ফিরতে চাই, বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে চাই।

খেলার মাঠে সাকিব যখন নিজেকে পাক পোক্ত করছিলেন হঠাৎ ২০১৭ সালে পরপারে চলে যান বাবা।

সাকিব আরও জানান, বাবার মৃত্যুর পর বড় দুই ভাই সংসারের হাল ধরেন। সাকিব ক্রিকেট খেলে নিজের পড়ার খরচ যোগাড় করতেন। চোখের আলো নিভে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অর্থাভাবে শিক্ষাজীবনও থেমে যাওয়ার শঙ্কা তার।

সাকিবের বড় ভাই আকতার কোরাইশি জানিয়েছেন, বাংলাদেশ চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসক সঞ্জয় কুমার দাসের ত্বত্তাবধানে চিকিৎসা চলছে সাকিবের। তার মাথা থেকে আটটি, নাকে একটি ও চোয়ালে একটি বিঁধে থাকা ছররা গুলি বের করা যায়নি।

সাকিবের মা আছিয়া খাতুন বলেন, অনেক তাজা জীবনের বিনিময়ে দেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছে সেই স্বাধীন দেশে আজ আমার ছেলে দেখতে পাবেনা তা মানতে পারছি না।

 

 

Link copied!