এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপের আগে বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ফিটনেস পরীক্ষা হয়েছে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের। মিরপুরের ইনডোর স্টেডিয়ামে হওয়া এই ফিটনেস পরীক্ষায় সবাইকে ছাড়িয়ে সেরা হয়েছেন টপ অর্ডার ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত। জানা গেছে আলোচিত সিনিয়র ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বেঞ্চমার্কের ওপরে পয়েন্ট তুলতে পারেননি। তিনি পেয়েছেন ১৮ পয়েন্ট।
এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপের মতো বড় আসরের আগে খেলোয়াড়দের ফিটনেস পরখ করে নেয়ার জন্য জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের ‘ইয়ো ইয়ো’ টেস্ট নিয়েছেন ট্রেনার নিক লি। বৃহস্পতিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত এই ফিটনেস টেস্টে অংশ নিয়েছেন জাতীয় দলের প্রায় ২১-২২ জন ক্রিকেটার।
পরে এ নিয়ে বিস্তারিত জানান জাতীয় দলের ট্রেনার নিক লি। সব ক্রিকেটারই কাছাকাছি স্কোর করেছেন বলে জানান তিনি।
লি বলেন, ‘গত ৩-৪ দিন আমরা ক্রিকেটারদের কিছু স্ক্রিনিং করেছি। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচের দুই মাস আগে এখনই (ক্রিকেটারদের ফিটনেসের ব্যাপারে) সত্যিকারের শেষ সুযোগ, কিছু তথ্য পাওয়ার। পাশাপাশি বিশ্বকাপের জন্য যথাযথভাবে প্রস্তুত করার জন্য ট্রেনিংয়ে কোনো পরিবর্তন আনতে হলে সেটিও দেখার শেষ সুযোগ। ’
জানা গেছে, নিক লি`র ইয়ো ইয়ো টেস্টে স্কোরের মানদণ্ড ধরা হয়েছিল ১৮.৬। বেশিরভাগ ক্রিকেটারই সেখানে ১৭ থেকে ১৮-এর মতো পেয়েছেন। সবচেয়ে বেশি ১৯.৫ স্কোর করেছেন শান্ত। তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিব ১৯.৩ পেয়ে ছিলেন দ্বিতীয় স্থানে। বাকিরা ছিলো ১৭-১৮ এর মধ্যে।
নিক লি বলেন, ‘আজকে আমরা এই টেস্টিংয়ের পারফরম্যান্স সাইডে নজর দিয়েছি। যেখানে গতি, পাওয়ার, দিক পরিবর্তন, কিছু বডি কম্পোজিশনের পর ইনজার্ন টেস্ট দিয়ে শেষ করেছি। গরম ও কন্ডিশনের কথা মাথায় রেখে এবং তাদের গত কয়েক সপ্তাহ বিরতি ছিল, সব কিছু মিলিয়ে আমি তাদের (ইয়ো ইয়ো টেস্টের) ফলে খুশি। ক্যাম্প যতটা সামনে এগোবে, শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার আগে আমরা হয়তো তাদের উন্নতি দেখার জন্য আবার টেস্ট করব। তো এই তো, গত কয়েক দিন এসবই করছি আমরা। ’
সামনে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্ট রয়েছে। সবমিলিয়ে টানা কয়েক মাস খেলার ভেতরে থাকতে হবে ক্রিকেটারদের। এর আগে এই টেস্টকে ফিটনেস পরীক্ষার একটা মঞ্চ হিসেবেই দেখা হয়েছে, এমন জানিয়েছেন নিক লি।
তিনি বলেন, ‘এই টেস্টিং দলে সুযোগ পাওয়া বা বাদ পড়ার কোনো অংশ নয়। এটি স্রেফ আমার, ফিজিও, মেডিকেল টিম, নির্বাচক, প্রধান কোচের বোঝার জন্য যে ক্রিকেটাররা কোন অবস্থায় আছে এবং আগামী দুই মাসের মধ্যে তাদের নিয়ে কেমন কাজ করতে হবে। কারও হয়তো অনেক ভালো স্কিল থাকতে পারে, তবে ফিটনেসের দিক থেকে কিছু ঘাটতি থাকতে পারে। এক্ষেত্রে তারা স্কিল ট্রেনিং কিছুটা কমিয়ে ফিটনেসের দিকে মনোযোগ দিতে পারে। যারা ফিজিক্যালি অনেক ফিট, তারা বেশি স্কিল ওয়ার্ক করতে পারে। তো এটি মূলত আমাদের তথ্য দেবে যে, আমরা আগামী ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের অনুশীলন কীভাবে সাজাব। ’
আগামী ৮ আগস্ট শুরু হবে ক্রিকেটারদের স্কিল ক্যাম্প।