পুরুষরা ক্রিকেটের চর্চা করছে ১৯৭৪-৭৫ সাল থেকে। আর ১৯৭৬-৭৭ সাল থেকে বিদেশি দলের বিপক্ষে খেলছে বাংলাদেশ জাতীয় দল। কিন্তু নারীদের ক্রিকেট চর্চা একেবারেই ঘরোয়াভাবে শুরু হয় আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে। প্রথম নারী ক্রিকেট দল গঠন হয় ২০০৭ সালে। সেই অবহেলিত নারী ক্রিকেটাররা এখন বেশ পরিপক্ক হয়ে উঠেছেন। দশ বছর পর বিশ্বকাপে জয় পাওয়া, দেশের মাটিতে আয়ারল্যান্ডকে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করা এবং অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে রানার্সআপ হওয়া- এইসব কারণে ২০২৪ সাল নারী ক্রিকেটারদের সাফল্যের বছর হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
দ্বিতীয় বারের মতো বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল ৩-০ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে। ২ ডিসেম্বর মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তৃতীয় ম্যাচে তারা ৭ উইকেটে সফরকারী আয়ারল্যান্ডকে পরাজিত করে। এরআগে, নিগার সুলতানা জ্যোতিরা এবার প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ১৫৪ রানের রেকর্ড জয় পায়। দ্বিতীয় ম্যাচে ৫ উইকেটে জয়লাভ করে। ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে ওয়ানডে জিতেছিল টাইগ্রেস বাহিনী। সেটি ছিল জিম্বাবুয়ের মাটিতে।
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের বায়োমাস স্টেডিয়ামে নারী অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে শক্তিশালী ভারতের কাছে হেরে রানার্সআপ হয় বাংলাদেশ। ভারতের দেওয়া ১১৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে মাত্র ৭৬ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। ৪২ রানের ব্যবধানে ম্যাচ জিতে শিরোপা ঘরে তোলে ভারত। শিরোপা না জিতলেও রানার্সআপ হওয়াটাও কম গৌরবের ছিল না।
সবশেষ ২০১৪ সালে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর থেকে জয়হীন ছিল টাইগ্রেসরা। অবশেষে ১০ বছর পর সংক্ষিপ্ত সংস্করণের বিশ্বকাপে জয়ের দেখা পেয়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। ৩ অক্টোবর বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে স্বল্প পুঁজি নিয়েও স্কটল্যান্ডকে ১৬ রানে হারিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৯ রান সংগ্রহ করে টাইগ্রেসরা। ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১০৩ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় স্কটল্যান্ড নারী দল।