২০২৪ ইউরো বাছাই পর্বের ম্যাচে জর্জিয়াকে গোলবন্যায় ভাসিয়েছে স্পেন। জর্জিয়ার ঘরের মাঠে ৭-১ গোলের বড় হারের লজ্জা দিয়েছে ২০১০ সালের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নরা। এই ম্যাচে লামিনে ইয়ামাল গোল করে স্পেনের সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে নাম লিখিয়েছেন। ইয়ামালের পাশা পাশি হ্যাটট্রিক করেছেন অধিনায়ক আলভারো মোরাতা।
প্রথমার্ধের বিরতির ২ মিনিট আগে দানি ওলমোর বদলি হিসেবে মাঠে নামেন ইয়ামাল। মাঠে নামার সময় ইয়ামালের বয়স ছিল ১৬ বছর ৫৭ দিন। মাঠে নেমেই স্পেনের জার্সিতে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়ের রেকর্ড গড়েন তিনি।।
মাঠে নামার পর থেকেই ম্যাচে প্রভাব ফেলতে শুরু করেন ইয়ামাল। ৭৪তম মিনিটে সতীর্থের ক্রসে স্পেনের সপ্তম গোলটি করে রেকর্ড গড়েন তিনি। স্পেনের হয়ে সর্বকনিষ্ঠ গোলস্কোরার এখন এই তরুণ। ২০২৩ সালের এপ্রিলে বার্সার জার্সিতে লা লিগায় অভিষেক হওয়া সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়ের রেকর্ডও তার দখলেই যায়। বার্সার একাদশে তিনি এখন নিয়মিত সদস্য।
এর আগে ২০২০ সালে ১৭ বছর ৩১১ দিন বয়সে স্পেনের সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতার রেকর্ড গড়েছিলেন আনসু ফাতি। ফাতির রেকর্ডে ভেঙে ২০২১ সালে স্পেনের জার্সিতে অভিষেকেই গোল করেন বার্সার আরেক ফুটবলার গাভির। তখন তার বয়স ছিল ১৭ বছর ৬২ মাস। আর গাভির রেকর্ড ভাঙলো তার বর্তমান সতীর্থ খেলোয়াড় ইয়ামাল। নতুন রেকর্ডে স্পেনের সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলারের বয়স ১৬ বছর ৫৭ দিন। এই তিন ফুটবলারের মধ্যে একটি মিল রয়েছে, তিনজনই বার্সার ফুটবলার তৈরির কারখানা `লা মাসিয়া` থেকে ওঠে এসেছেন।
ইয়ামালের এমন জোড়া রেকর্ড গড়ার ম্যাচে জাতীয় দলের জার্সিতে প্রথম হ্যাটট্রিকের দেখা পেয়েছেন ফরোয়ার্ড মোরাতা। গোলবন্যার শুরুটাও করেন তিনিই। ম্যাচে ওলমো ও নিকো উইলিয়ামস করেছেন ১টি করে গোল। বাকি একটি গোল নিজেদের জালে জড়িয়ে স্পেনকে গোল উপহার দিয়েছেন জর্জিয়ার সলোমন কভির্কভেলিয়া।
এই জয়ে ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে `এ` গ্রুপের দুইয়ে উঠে এলো স্পেন। একই গ্রুপের আরেক দল স্কটল্যান্ড ৩-০ গোলে সাইপ্রাসকে হারিয়েছে। ৫ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে স্কটিশরা।
‘জে’ গ্রুপ থেকে স্লোভাকিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়েছে পর্তুগাল। নিজের জন্মদিনে পর্তুগালকে জয়সূচক গোল উপহার দেন তারকা মিডফিল্ডার ব্রুনো ফার্নান্দেজ। ৪৩ মিনিটে গোল করা ছাড়াও আরেকটু হলেই স্কোরকার্ডে গোল করানোয়ও তার নামটা যোগ হতো। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে দারুণ এক পাস দিয়েছিলেন, কিন্তু পর্তুগিজ কিংবদন্তি লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন। প্রতিপক্ষকে মারাত্মক ফাউল করায় এ ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখে পর্তুগালের পরের ম্যাচে নিষিদ্ধ হয়েছেন রোনালদো। ৫ ম্যাচের সব কটি জিতে মোট ১৫ পয়েন্ট নিয়ে ‘জে’ গ্রুপের শীর্ষে পর্তুগাল।
‘ডি’ গ্রুপ থেকে লাটভিয়াকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে ক্রোয়েশিয়া। জোড়া গোল করার পাশাপাশি একটি গোল বানিয়েও দেন ক্রোয়াট তারকা ব্রুনো পেটকোভিচ। ৩ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ‘ডি’ গ্রুপে দ্বিতীয় ক্রোয়েশিয়া। ৫ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা তুরস্ক ১-১ গোলে ড্র করেছে আর্মেনিয়ার