ইউরোপীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ শুরুর আগেই কিশোর লামিন ইয়ামালকে নিয়ে ছিল আলোচনা। গোটা আসরে তার পরিণত পারফরম্যান্সে সেটার পারদ ছুঁয়ে ফেলেছে চূড়া। প্রত্যাশাকেও যেন ছাপিয়ে গেছেন বার্সেলোনার উইঙ্গার! আগামীর বড় তারকা হয়ে ওঠার জন্য যা যা প্রয়োজন, সবকিছুর প্রতিফলন ঘটিয়েছেন বল পায়ে। স্পেনের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পেছনের অন্যতম কারিগর ইয়ামালের হাতেই তাই উঠল আসরের সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কার।
রোববার রাতে বার্লিনে অনুষ্ঠিত ফাইনালেও ১৭ বছর ১ দিন বয়সী ইয়ামাল ছড়ান আলো। জন্মদিনের পরদিনই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে স্পেনের ২-১ গোলের জয়ে তিনি করেন একটি অ্যাসিস্ট।
এবারের ইউরোতে স্প্যানিশদের সাত ম্যাচের সবকটিতে মাঠে নেমেছেন ইয়ামাল। চারটি অ্যাসিস্টের পাশাপাশি একটি গোল এসেছে তার পা থেকে। ইউরোর ইতিহাসে সবচেয়ে সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় ও সবচেয়ে কম বয়সী গোলদাতার রেকর্ড আগেই নিজের করে নিয়েছিলেন তিনি। শিরোপার লড়াইয়ের মঞ্চেও সেই ধারা বজায় থাকল। আরও দুটি রেকর্ড গড়লেন তিনি।
ইউরোপের সর্বোচ্চ ফুটবল আসরের ফাইনালে খেলা সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার এখন ইয়ামাল। আগের কীর্তিটি ছিল রেনাতো সানচেসের দখলে। তিনি ফ্রান্সের বিপক্ষে ২০১৬ সালের আসরে পর্তুগালের জার্সিতে খেলেছিলেন ১৮ বছর ৩২৮ দিন বয়সে। আরেকটি কীর্তি হলো, ইউরোর কোনো আসরে সবচেয়ে বেশি অ্যাসিস্টের তালিকায় যৌথভাবে শীর্ষে উঠে গেছেন তিনি। তার মতো চারটি করে অ্যাসিস্ট করেছেন তিনজন— যুগোস্লাভিয়ার লিউবিঙ্কো দ্রুলোভিচ (২০০০ সালে), বেলজিয়ামের এডেন হ্যাজার্ড (২০১৬ সালে) ও ওয়েলসের অ্যারন রামসি (২০১৬ সালে)।