মিরপুরে আফগানিস্তানের বিপক্ষের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে চোটে পড়েছিলেন এবাদত হোসেন। হাঁটুর সেই ইনজুরির কারণে এশিয়া কাপ শুরুর আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে এই পেসারের। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে দ্রুত মাঠে ফিরতে উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার (২৮ আগস্ট) সকালে লন্ডনের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন এই পেসার।
এবাদতের ইনজুরি থাকলেও তাকে এশিয়া কাপের স্কোয়াডে রাখেন নির্বাচকরা। পরে বিশ্বকাপের আগে তাকে নিয়ে কোনো প্রকার ঝুঁকি নিতে চাইনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যার জন্য তার নাম প্রত্যাহার করে তার জায়গায় তানজিম সাকিবকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
বিসিবি প্রথম দিকে ধারণা করেছিল, এবাদতের হাঁটুর চোট তেমন গুরুতর নয়। তাকে কিছুদিন পুনর্বাসন ও পরিচর্যা করলেই মাঠের খেলায় ফেরাতে পারবে। তবে গত কিছুদিন পুনর্বাসন করেও লাভ হয়নি তার। একের পর এক এমআরআই করে দেখা গেছে, এবাদতের চোটাক্রান্ত বাঁ হাঁটুর এসিএল লিগামেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার এই চোট থেকে সেরে উঠতে উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার প্রয়োজন। তাই তাকে বিসিবি লন্ডনে পাঠিয়েছে উন্নত চিকিৎসার জন্য।
বাংলাদেশ পেস বোলিং ইউনিট এখন অনেক শক্তিশালী। সেই ইউনিটের অন্যতম সদস্য এবাদত হোসাইন। এই পেসার এশিয়া কাপে দলের সঙ্গে না থাকায় টাইগার কোচ কিছুটা চিন্তিত। চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বলেন, “আপনারা জানেন এবাদত আমাদের ইমপ্যাক্টফুল বোলারদের একজন। আমাদের পাঁচজন ফাস্ট বোলারের মধ্যে যারা শেষ কয়েকটি সিরিজে খেলেছে, তাদের মধ্যে সে দ্রুতগতির বোলারও। তাই এটা আমাদের জন্য বড় ক্ষতি এবং তার বিকল্প বের করা আমাদের জন্য কঠিন কাজ। আশা করছি সে দ্রুত সেরে উঠবে।”s
সাকিব আল হাসান মনে করেন এবাদতের দলের সঙ্গে না থাকাটা তাদের জন্য একটা ধাক্কা। সাকিব বলেন, “দুর্ভাগ্যজনকভাবে এবাদত আমাদের সঙ্গে যেতে পারছে না। সে আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। সে জায়গা থেকে এটা আমাদের জন্য একটা ধাক্কা। তারপরও সে ধরনের প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি এবং যে ধরনের স্কোয়াড আছে আমরা আশাকরি অনেকদূর যেতে পারবো।”