• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

সিরিজ জয়ের অপেক্ষা বাড়ল বাংলাদেশের মেয়েদের


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১৯, ২০২৩, ০৫:৪৫ পিএম
সিরিজ জয়ের অপেক্ষা বাড়ল বাংলাদেশের মেয়েদের

সিরিজে দারুণভাবে ক্যামব্যাক করলো ভারত। তিন ম্যাচ সিরিজে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের মেয়েদের হারালো তারা ১০৮  রানে। এই জয়ে সিরিজ এখন ১-১ এ সমতা।

বাংলার মেয়েদের আরও অবিস্মরণীয় একটি বিজয় লেখার জন্য প্রস্তুত ছিলো, রেডি ছিলো উৎযাপন করার  মঞ্চও। কিন্তু সব পরিকল্পনা ম্লান হয়ে গেলো টাইগ্রেসদের ব্যাটিং ব্যর্থতায়। বুধবার (১৯জুলাই) ম্যাচ জিততে পারলেই তো ভারতীয়দের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো সিরিজ জয়ের রেকর্ড গড়া হতো নিগার সুলতানাদের। প্রথম ওয়ানডে জয়ের পর টাইগ্রেস কাপ্তানের কন্ঠে ছিলো ইতিহাস গড়ার প্রত্যয়। ব্যাটিং বর্থ্যতায় সেই অপেক্ষটা বাড়লো।

মিরপুরে বুধবার টসে জয় পাওয়া বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রন জানায় ভারতকে। প্রথম ওয়ানডেতে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ম্যাচ হারা ভারত , ৪০ রানের ভিতর হারায় তাদের দুই উইকেট। দলীয় ১৭ রানে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ব্রেকথ্রো আনেন পেসার মারুফা। তার অসাধারণ সুইয়ে ভারতীয় ব্যাটার প্রিয়া পুনিয়া বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নের পথে যাবার আগে  করেন ৭ রান। এরপর একাদশ ওভারে মারুফার দারুণ এক থ্রোতে ২৩ বলে ১৫ রান করা ইয়াস্তিকা ভাটিয়া রান আউট হন।

তৃতীয় উইকেটে স্মৃতি মান্ধানা ও অধিনায়ক হারমানপ্রীত মিলে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। ২৮ রানের জুটি গড়ে আউট হন স্মৃতি।  দারুণ এক ডেলিভারিতে তাকে ফেরান তরুণ লেগ স্পিনার রাবেয়া খাতুন। ৪ চারে ৫৮ বলে ৩৬ রান করে আউট হন স্মৃতি।  

চতুর্থ উইকেটে হারমানপ্রীত ও জেমিমাহ মিলে বড় জুটির দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন। ৭৩ রানের জুটির পর  হাতে ব্যথা পেয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হন হারমানপ্রীত ।

তার কিছুক্ষণ পরই প্রথমবার ওয়ানডে সিরিজে সুযোগ পাওয়ার ভারতীয় অলরাউন্ডার হারলিন দেওল নাহিদার শিকার হন। আউট হওয়ার আগে ৩৬ বলে খেলেন ২৫ রানের ইনিংস।

এরপর অবশ্য আবার মাঠে নামেন হারমানপ্রীত। এবার জেমিমাহকে নিয়ে ২৫ রান যোগ করেন হারমানপ্রীত। ৭৮ বলে ৯ চারে ৮৬ রানের ইনিংস খেলে জেমিমাহ আউট হলে জুটি ভাঙ্গে তাদের। জেমিমাহর পর আউট হন হারমানপ্রীতও, করেন ৫২ রান। সবমিলিয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২২৮ রান। বাংলাদেশের পক্ষে দুই উইকেট করে নেন সুলতানা খাতুন ও নাহিদা আক্তার।

২২৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামা বাংলার মেয়েদের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। ৩৮ রান তুলতেই সাজঘরে ফেরেন ৩ ব্যাটার। ব্যাক্তিগত ২ রান করে দ্বিপ্তী শর্মার বলে এলবি ডাব্লিউ শিকার হয়ে ফেরেন শারমিন আক্তার। পরের ওভারের শেষ বলে ১২ রান করা মুরশিদা খাতুনকে ফেরান মেঘনা সিং।  একাদশে ফেরা লতা মণ্ডলও ফেরেন দ্রুতই।  ২৩ বল খেলে ৯ রান করে সাজঘরে ফেরত যান এই ব্যাটার। স্নেহা রানার বলে হন বোল্ড।

ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশকে এরপর জয়ের আশা দেখাচ্ছিলো  ফারজানা হক ও রিতু মণির জুটি। দুজনের যুগলবন্দীতে বাংলাদেশ তোলে ৬৮ রান। এরপরিই ফিরে যান ফারজানা। দেবিকা ভাদিয়ার বলে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হওয়ার আগে ৫ চারে ৮১ বলে ৪৭ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। এরপরিই তাসের ঘরে মতো ভেঙ্গে পরে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ। শেষ ৬ উইকেট হারায় মাত্র ১৪ রানে।  

বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬ বলে ২৭ রান করেন রিতু । ভারতের পক্ষে কেবল ৩ ওভার ১ বল হাত ঘুরিয়েই ৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন জেমাইমা। তিন উইকেট নেন দেবিকাও।  
ব্যাটে-বলে দারুণ পারফরমেন্স করায় ম্যাচ সেরা জেমাইমা রদ্রিগেজ।
 

Link copied!