শনিবার (১ অক্টোবর) থেকে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে স্বাগতিক বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে নারী এশিয়া কাপ। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হওয়া এই টুর্নামেন্টের ৯ম আসর। টানা চতুর্থবারের মতো নারীদের এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে।
একসময় নারীদের এশিয়া কাপ আয়োজিত হতো ওয়ানডে ফরম্যাটে। ২০১২ সাল থেকে এই আসর অবশ্য হচ্ছে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে। ২০০৪, ২০০৫, ২০০৬ ও ২০০৮ সালে নারীদের এশিয়া কাপ আয়োজিত হয়েছিল ওয়ানডে সংস্করণে।
এশিয়া কাপ দিয়েই দীর্ঘ ৮ বছর পর নারীদের কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করবে সিলেট। ২০১৪ সালে নারী বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজন করেছিল ভেন্যুটি।
শুধু তা-ই নয়, দীর্ঘ চার বছর পর বাংলাদেশে আয়োজিত হবে মেয়েদের কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সফর করেছিল পাকিস্তানের মেয়েরা। ওইবারই নারীদের সর্বশেষ কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ।
শুধু তা-ই নয়, চার বছর পর মাঠে গড়াচ্ছে এশিয়া কাপও। ২০১৮ সালে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে মালেয়শিয়ায় আয়োজিত হয়েছিল এশিয়া কাপ। সেবার ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে এশিয়া কাপ জিতেছিল বাংলাদেশ। অর্থাৎ স্বাগতিকরা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে টুর্নামেন্ট শুরু করবে।
এশিয়া কাপের এই আসর মাঠে গড়ানোর কথা ছিল ২০২০ সালে। করোনা মহামারির কারণে ওই বছর ও ২০২১ সালে আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। তাই তিন বছর পিছিয়ে ২০২২ সালে আয়োজিত হচ্ছে এই টুর্নামেন্ট।
নারী এশিয়া কাপের এবারের আসরে অংশ নেবে সাত দল। ১৫ দিনব্যাপী হওয়া এই টুর্নামেন্টই নারী এশিয়া কাপের দীর্ঘতম আসর। পুরো টুর্নামেন্ট আয়োজিত হবে রবিন রাউন্ড পদ্ধতিতে। ফলে দলগুলো মোট ৬টি করে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে।