বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে মেহেদি হাসান মিরাজ। এর আগে নেতৃত্বে ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে তিনি এই মুহূর্তে শর্ট ফরম্যাটে দলকে নেতৃত্ব দিতে রাজি নয়। সেই কারণে নতুন অধিনায়কের খোঁজে রয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে এখনও কাউকে চূড়ান্ত করা হয়নি বলে শুক্রবার জানান বিসিবির সভাপতি।
এর আগে এক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল, নাজমুলের জায়গায় টি-টেয়েন্টিতে অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন লিটন দাস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্বে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি, যেখানে বাংলাদেশ ৩-০ ব্যবধানে সিরিজে জয়লাভ করে। তবে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, লিটন দৌড়ে ছিলেন, তবে তার ফর্ম চিন্তার বিষয় ছিল। সেটাই এই ক্ষেত্রে বিবেচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ফারুক বলেন, ‘শান্ত আমাদের জানিয়েছিল যে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দলকে নেতৃত্ব দিতে ইচ্ছুক নয়, সেই কারণেই আমরা অন্য কাউকে চিন্তা করছিলাম। যেহেতু আমরা ৬ মাসের মধ্যে টি-টোয়েন্টি খেলব না তাই সেটা বাছাই করার জন্য অনেক সময় রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় লিটন ফর্মে নেই, তবে একজন অধিনায়ক হিসেবে সে খুবই ভালো করেছে এবং তার সবচেয়ে বড় গুন হল নিজের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সকে অধিনায়কত্বের ওপর প্রভাব ফেলতে দেয়নি।’
অন্যদিকে অধিনায়ক হওয়ার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তিনি বলেন, ‘দেখুন যখন সুযোগ আসবে তখন সেটাকে উপভোগ করাটা জরুরি।’
মেহেদিরও অধিনায়ক হিসেবে অভিজ্ঞতা কম নয়। তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট এবং ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিপিএলে ঢাকা ক্যাপিটালের অধিনায়ক ও মেহেদি। তিনি বলেন, ‘আমি ওয়েস্ট ইন্ডিজে নেতৃত্ব দিয়েছি, এখানেও দিয়েছি, সেই কারণে আমার জন্য এটা নতুন কাজ নয়। অধিনায়কত্ব করাটা একটা অভ্যাস, অনেক দিন গ্যাপ দিলে মাঝেমধ্যে চিন্তা হয়, কন্টিনিউ করলে ভালো ভালো সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। আরও কীভাবে উন্নতি করা যায় তা ভাবা যায়। আমি সবসময় নেতৃত্ব দেওয়াটা উপভোগ করার চেষ্টা করি।’
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাকিব আল হাসানকে খেলানো হবে কিনা সেটা নিয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘দেখুন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দেশের মাটিতে হবে না। তাই ওকে খেলানো হবে কিনা সেটা বিপিএল চলাকালেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব। আমি আমার দিক থেকে আরও একবার সাকিবকে দলে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করব। তবে আপনারা জানেন পুরো বিষয়টা সরকারের হাতে।’
