পাকিস্তানের মাটিতে ভারতীয় দল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই। তাতের এমন বক্তব্য জানার পর আইসিসির কর্মকর্তারা ভারতের ম্যাচগুলির জন্য বিকল্প ব্যবস্থার পরিকল্পনা শুরু করেছেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতকে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। যদিও এ ব্যাপারে সরকারি ঘোষণা হয়নি। তারা আপাতত দু’দেশের বোর্ড কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে আইসিসি। কিন্তু পাকিস্তান সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এ ক্ষেত্রে হাইব্রিড মডেলে খেলা হবে না।
এই বিতর্কের মাঝে দু’দেশকেই সাসপেন্ড করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন পাকিস্তানেরই সাবেক অধিনায়ক রশিদ লতিফ। এতে করে জন্ম নিয়েছে আরেক বিতর্ক। যেখানে লতিফ তার দেশেই সমালোচিত হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
লতিফের মতে, যত দিন না তা মিটছে ততদিন দু’দেশের কাউকেই কোনও প্রতিযোগিতা আয়োজন করার দায়িত্ব দেওয়া উচিত নয়। ক্রিকেটে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে ২০১৯ সালে জিম্বাবুয়ে ও ২০২৩ সালে শ্রীলঙ্কাকে সাসপেন্ড করেছিল আইসিসি। ভারত ও পাকিস্তানকেও সেই শাস্তি দেওয়ার দাবি করেছেন তিনি। লতিফ বলেন, ‘ভারত, পাকিস্তানকে কেন সাসপেন্ড করা হচ্ছে না? কারণ, এই দুই দেশ থেকে আইসিসির অনেক লাভ হয়। আমার মনে হয় আইসিসির উচিত, এই দুই দলকেই সাসপেন্ড করে দেওয়া।’
এশিয়া কাপেও একই ঘটনা ঘটেছিল। লতিফ জানিয়েছেন, প্রত্যেক বার ভারতের কথাকেই মান্যতা দিচ্ছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের উচিত ভারতের সঙ্গে ক্রিকেট খেলা বন্ধ করে দেওয়া। আমি যদি ক্ষমতায় থাকতাম তা হলে এই পদক্ষেপই করতাম। আমি কাউকে দোষ দিচ্ছি না। কিন্তু তুমি যদি পাকিস্তানে খেলতে না চাও তা হলে বিশ্বের কোথাও তোমাদের সঙ্গে খেলব না। আমি ক্ষমতায় থাকলে ভারতীয় বোর্ডের সঙ্গে লড়াই করতাম।’
ভারতের সঙ্গে ২০০৮ সাল থেকে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধ পাকিস্তানের। শুধু আইসিসি ও এশীয় প্রতিযোগিতায় মুখোমুখি হয় দু’দল। ভারতের সঙ্গে না খেললে পাকিস্তানের ক্রিকেটের কোনও ক্ষতি হবে না বলেই মনে করেন লতিফ।