এশিয়া কাপে শীর্ষ পাঁচে ব্যাট হাতে বাংলাদেশের কারও নাম নেই। তবে টপ দশ জনের ভিতর রয়েছে দুজন বাংলাদেশি। তারা হলেন সাকিব আল হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্ত। বল হাতে টপ পাঁচে যৌথভাবে রয়েছেন তাসকিন আহমেদ। আর দশ জনের তালিকায় আছেন টাইগার আরেক পেসার শরিফুল ইসলাম ।
এবারের টুর্নামেন্টে ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন ভারতীয় ওপেনার শুভমান গিল। ফর্মের তুঙ্গে থাকা এই ব্যাটার এশিয়া কাপেও ছিলেন দুর্দান্ত। বাংলাদেশের বিপক্ষে হাঁকিয়েছেন শতক। পাকিস্তান এবং নেপালের বিপক্ষে এসেছিল পঞ্চাশ পেরুনো ইনিংস। ৬ ম্যাচে ৭৫ এর বেশি গড়ে করেছেন ৩০২ রান করে তালিকার সবার ওপরে ভারতীয় এই ব্যাটার।
তালিকার দুইয়ে রয়েছে ৩ অর্ধশতকে ২৭০ রান করা কুশল মেন্ডিস। ২১৫ রান করে ৩ নম্বরে রয়েছেন আরেক শ্রীলঙ্কান সাদিরা সামারাবিক্রমা। ২০৭ ও ১৯৫ রান নিয়ে তালিকার ৪ ও ৫ নম্বরে রয়েছেন দুই পাকিস্তানি ক্রিকেটার বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। ২ ম্যাচে ১টি শতক ও ১টি অর্ধশতক করা বাংলাদেশি ব্যাটার নাজমুল শান্তর ব্যাট থেকে এসছে ১৯৩ রান। তিনি রয়েছেন তালিকার ৭ নম্বরে । আর ১০ নম্বরে থাকা সাকিব আল হাসানের ব্যাট থেকে এসেছে ১৭৩ রান।
বল হাতেও দেখা গিয়েছে লঙ্কানদের দাপট। শীর্ষ তিনে আছেন দুই লঙ্কান বোলার। জুনিয়র মালিঙ্গা হিসেবে খ্যাতি পাওয়া মাথিশা পাথিরানা টুর্নামেন্টের সেরা বোলার। ৬ ইনিংসে পেয়েছেন ১১ উইকেট। ফাইনালে ৬ উইকেট নিয়ে মোহাম্মদ সিরাজ উঠে এসেছেন তালিকার দুইয়ে। তার উইকেট ১০টি। সমান দশ উইকেট নিয়েছেন আরো দু’বোলার দুনিথ ভেল্লালাগে ও শাহিন শাহ আফ্রিদী। তাসকিন, হারিস রউফ, কুলদ্বীপ যাদবদের উইকেট ৯টি করে। আর ৭ উইকেট নিয়ে শরীফুল আছেন তালিকার নয় নম্বরে।
এশিয়া কাপে সবচেয়ে বেশি ডিসমিসাল করেছেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ রিজওয়ান। তিনি সবমিলে ৯টি ডিসমিসাল করেছেন। টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বেশি চারটি ক্যাচ ধরেছেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান ফখর জামান।