একটা সময় বলপ্রতি জয়ের রানের লক্ষ্যমাত্রা কম ছিল। সম্প্রচারকারী চ্যানেলে দেখানো হচ্ছিল ভারতের জয়ের সম্ভাবনা ৮ শতাংশ এবং পাকিস্তানের ৯২ শতাংশ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জেতা ম্যাচ মাঠেই ফেলে এলো পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পরিসংখ্যান দাঁড়াল ভারতের পক্ষে ৭-১।
নিউইয়র্কে রোববার রাতে ভারতের কাছে ৬ রানে হেরে গ্রুপ পর্বেই বিশ্বকাপ যাত্রার শেষ দেখছে পাকিস্তান। এই হারে শুধু দেশটির আমজনতা নয়, ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সাবেক ক্রিকেটাররাও। ম্যাচের পরে চোখের পানি ফেলতে দেখা যায় নাসিম শাহকে। বল হাতে তিনি তিন উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। এই একটা ছবিই যেন স্পষ্ট করে দিল সারা পাকিস্তানের হতাশার চিত্রটা।
রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস খ্যাত সাবেক পেসার শোয়েব আখতার সামাজিক মাধ্যমে বলেন, ‘ম্যাচ দেখে হতাশ ও দুঃখিত। সারা দেশ মর্মাহত। দেশের জার্সি পরে নামা মানে দেশকে গর্বিত করার সুযোগ পাওয়া। এই সুযোগ হেলায় হারাল পাকিস্তান।’
আরেক সাবেক তারকা ওয়াকার ইউনুসও রীতিমতো ক্ষুব্ধ। তবে তিনি প্রশংসা করেছেন যশপ্রীত বুমরাহ’র। বলেন, ‘বুমরাহ সত্যিকারের কিংবদন্তি। গত বছর ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে আহমেদাবাদের মাটিতে ও একই জায়গায় নিখুঁত বল রেখেছিল। মাঠ পাল্টে গেলেও ওর সেই অভ্যাস পাল্টায়নি। এখানেও নিখুঁত লাইন লেংথে বল রেখে হারিয়ে দিল।’
পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম হারের জন্য দায়ী করছেন ব্যাটারদের অতিরিক্ত ডট বল খেলাকে। তিনি বলেছেন, ‘আমরা বোলিং ভালো করেছি। ব্যাটিংয়ের সময় নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়েছি এবং অতিরিক্ত ডট বল খেলেছি। নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে পারিনি।’
তাদের রণনীতি কী ছিল? বাবরের কথায়, ‘আমরা আমাদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে চেয়েছিলাম। স্ট্রাইক পরিবর্তন করা এবং মাঝে মাঝে বাউন্ডারি তুলে নেওয়া। কিন্তু মাঝের ওভারগুলোতে সেই স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারিনি। অতিরিক্ত ডট বল খেলেছি। প্রথম ছয় ওভারে পাওয়ারপ্লেতেও যথেষ্ট রান তুলে পারিনি।’