মঞ্চ প্রস্তুত। নারীদের নতুন চ্যাম্পিয়নদের বরণ করে নিতে প্রস্তুত গোটা ফুটবল বিশ্ব। আমেরিকার রাজত্ব সরিয়ে এবার অল ইউরোপিয়ান ফাইনাল। এক মাসব্যাপী মেয়েদের বিশ্বকাপ শেষ হতে চলেছে রোববার (২০ আগস্ট)।
সিডনিতে ফাইনালে মুখোমুখি হবে স্পেন এবং ইংল্যান্ড। দুই দলের কেউই আগে কোনো বিশ্বকাপ জেতেনি। ফলে এবার মেয়েদের বিশ্বকাপ পেতে চলেছে নতুন চ্যাম্পিয়ন। গত দুই বারের চ্যাম্পিয়ন আমেরিকা এ বার প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিয়েছে।
‘ইটস কামিং হোম’; ১৯৬৬ সালে ছেলেদের বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকেই বৃটিশ মিডিয়া কিংবা ভক্তরা প্রতিটি আসরের আগেই গায় এই গান। তবে আক্ষেপ সঙ্গী হয় সবসময়ই। হ্যারি কেইন-বেকহ্যামরা যা পারেননি, তাই করে দেখানোর সুযোগ হেম্প-রুসোদের।
মধ্যমাঠ লায়োনেসেসদের শক্তির বড় জায়গা। ডিফেন্স তো অভেদ্য, আক্রমণভাগ তারকায় খচিত। চলতি টুর্নামেন্টে প্রতিপক্ষের জালে ১৩ গোল দিয়েছেন লাউরেন জেমস, স্যাটেনওয়েরা। বিপরীতে হজম করেছেন মোটে তিনটি।
৩-৪-১-২ আর ৪-৩-৩। এবারের টুর্নামেন্টে দুটি ভিন্ন কৌশলে দলকে খেলিয়েছেন ইংলিশ ম্যানেজার স্যারিনা উইখম্যাম। তবে ফাইনালে স্প্যানিশ দুর্গ ভাঙতে সে কৌশলেও আসতে পারে পরিবর্তন।
উত্তেজনার পারদ বাড়ছে স্প্যানিশ নারীদেরও। আর স্বপ্নের কারিগর মাস্টারমাইন্ড হোর্হে ভিলদা। যতটা সম্ভব দলকে রাখছেন নির্ভার। ‘গ্রুপ সি’র থেকে নকআউট স্টেজে জায়গা করে নেওয়া স্পেনের আসল রূপ সবাই দেখেছে রাউন্ড অব সিক্সটিনে। শুরুটা সুইজারল্যান্ডকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে। এরপর স্নায়ুর পরীক্ষা নিলেও কোয়ার্টারে নেদারল্যান্ডস আর সেমিতে সুইডেন বৈতরণী তারা দারুণ দক্ষতায় পার হয়েছে। গ্রুপ পর্ব থেকে ফাইনালে আসার পথে ইংল্যান্ডের চেয়ে স্পেনের প্রতিপক্ষ ছিল তুলনামূলক কঠিন। যা ফাইনালের লড়াইয়ে বাড়তি আত্মবিশ্বাস দেবে লা রোজাদের।
শেষ পর্যন্ত সিডনির অলিম্পিক স্টেডিয়ামে যে দলই শিরোপা উঁচিয়ে ধরুক না কেন, জয়টা হবে নারী ফুটবলেরই। কারণ এবারের নবম আসর দেখেছে রেকর্ডসংখ্যক দর্শক। ফিফার আয়ও হয়েছে ৫৭ কোটি ডলার। তাই শুধু নতুন চ্যাম্পিয়ন পাওয়াই নয়, লক্ষ্যটা নারী ফুটবলকে আরও উঁচুতে নিয়ে যাওয়ার।