আচমকাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তার অনুপস্থিতিতে চলমান আফগানিস্তান সিরিজে কিংবা আসন্ন বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপে দলকে কে নেতৃত্ব দেবেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এমনকি ওয়ানডে দলে ছিল না তামিম ইকবালের কোনো ডেপুটি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) এই ভাবনা-চিন্তার মধ্যে ফেলে দিয়েছেন তামিম নিজেই। বৃহস্পতিবার ব্যক্তিগতভাবে সংবাদ সম্মেলন ডাকেন তিনি। সেখানে জানিয়ে দেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আর খেলবেন না।
এদিকে তবে দিবাগত রাত ১২টার পর জরুরি সভা শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। বৈঠক শেষে বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানান, তামিমের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের অপেক্ষায় আছি।
তবে সে না ফিরলে সহ-অধিনায়ক লিটন অধিনায়কত্ব করবেন। অবশ্য লিটন যে ওয়ানডে দলের সহ-অধিনায়ক, এটিও অবশ্য আগে আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি বিসিবি। তবে বোর্ড প্রধানের দাবি, আগেই জানানো হয়েছে। সে হিসেবে আপাতত অধিনায়ক কে হবেন, সেটা নিয়ে কোনো মাথাব্যথা না থাকলেও, বোর্ডকে এখন খুঁজতে হবে পরবর্তী অধিনায়ককে। যার অধীনে এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপ খেলবে বাংলাদেশ দল।
অধিনায়কত্বের জায়গায় যে দুটি নাম বেশি উচ্চারিত হচ্ছে—সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস। তবে অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে সাকিবই, যার কারণেই নেতৃত্ব পেয়েছিলেন তামিম! এছাড়া এই মুহূর্তে সাকিবের চেয়ে ভালো বিকল্প বিসিবির হাতেও নেই।
বয়স ৩৬ হলেও এখনো ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত সাকিব। এমনিতে সাকিব বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-টুয়েন্টি দলের অধিনায়ক। দীর্ঘ অভিজ্ঞতা। সামনে থেকে নেতৃত্বও দিতে জানেন। গত বিশ্বকাপে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে পুরো দুনিয়াকে বুঁদ করে রেখেছিলেন তিনি। অভিজ্ঞ ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপের মঞ্চে বাংলাদেশকে আবারও নেতৃত্ব দেওয়ার দৌড়ে তাই বেশ এগিয়ে সাকিব।
প্রশ্ন হচ্ছে, সাকিবকে প্রস্তাব দিলে তিনি রাজি হবেন কি না। অবশ্য সাকিবের কাছে এটা অনেক বড় সুযোগ। ২০২৩ বিশ্বকাপই তার শেষ বিশ্বকাপ হতে পারে। সেই বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ তিনি লুফে নিতেই পারেন।
আলোচনায় রয়েছেন লিটন দাসও। তামিমের চোটে ভারতের মতো দলের বিপক্ষে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা আছে লিটনের। তার অধীনে ওই সিরিজে ভারতকে হারিয়েও দেয় বাংলাদেশ। বিসিবি যদি তারুণ্যের দিকে ঝোঁকে তবে লিটনের অধীনেই বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে খেলতে দেখা যেতে পারে।
ক্ষীণ সম্ভাবনা আছে নাজমুল হোসেন শান্তরও। খুব বেশিদিন হয়নি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পায়ের তলায় মাটি শক্ত হয়েছে তার। তবে বয়সভিত্তিক দল এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব করার অভিজ্ঞতা আছে শান্তর। নেতা হিসেবে আছে বেশ ভালো নামডাকও।