• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিশাল ব্যবধানে হেরে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২৪, ০৫:১১ পিএম
বিশাল ব্যবধানে হেরে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ
বোলার মাহারাজকে ঘিরে দক্ষিণ আফ্রিকা সতীর্থদের উল্লাস। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকায় প্রথম টেস্টে ৭ উইকেটে হারলেও কিছুটা ইজ্জত বজায় রেখেছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু চট্টগ্রামে বিশাল ব্যবধানে ইনিংস পরাজয়ে হোয়াইটওয়াশ হলো স্বাগতিকরা। বৃহস্পতিবার মাত্র তিন দিনেই শেষ হলো দ্বিতীয় টেস্ট।

বাংলাদেশের খেলা দেখে মনে হলো, তারা ফিরে গেছে সেই পুরনো যুগে। যখন টেস্ট স্ট্যাটাস না পাওয়া বাংলাদেশ ইংল্যান্ডের এমসিসি এবং শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের কাছে ২/৩ দিনেই ইনিংস ব্যবধানে হারতো। তখন বাংলাদেশের ক্রিকেট যাত্রা শুরু হয়। তাই মেনে নেওয়া যেতেই পারে। কিন্তু এতো বছর পর, এতো টেস্ট খেলার পরও যদি ১৯৭৭-৭৮ সালের বাংলাদেশ হয়ে যেতে হয়, সেটা খুবই দু:খজনক।

একজন ফিল্ডারই রাখা হয়েছিল বাউন্ডারিতে। তার হাতেই ক্যাচ তুলে দিলেন আগের ইনিংসে দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক মুমিনুল হক। বোলার কেশভ মহারাজ তখন মাথায় দুই হাত রেখে মুচকি হাসছেন। এভাবেও আউট হওয়া যায়, তা হয়তো বিশ্বাস করতে পারছিলেন না তিনিও। 

চট্টগ্রাম টেস্টের দুই ইনিংসেই অবশ্য এমন অবিশ্বাস্য ব্যাটিংই করেছে বাংলাদেশ। যে উইকেটে ৫৭৫ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা, সেখানে দুই ইনিংস মিলিয়েও বাংলাদেশ করতে পারেনি এর অর্ধেক। ভুলে যাওয়ার মতো একটা সিরিজের সমাপ্তি ঘটেছে করুণ পরিণতিতে। 

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের শেষটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইনিংস ও ২৭৩ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। ৬ উইকেট হারিয়ে ৫৭৫ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে প্রোটিয়ারা। পরে প্রথম ইনিংসে ১৫৯ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৩ রান করে অলআউট হয় বাংলাদেশ। 

টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। শিরোপা নিয়ে ইতোমধ্যে দেশে ফিরেছে তারা। গোটা দেশের চোখ এখন সাবিনাদের দিকে। কিন্তু এরই মধ্যে লজ্জার সাগরে ডুবেছে বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেট দল। বন্দরনগরী চট্টগ্রামে একদিনে দুইবার অলআউট হয়ে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবেছে শান্তর দল।

ম্যাচের দুটি ইনিংসেই বাংলাদেশের তাড়না ছিল যেন কত দ্রুত ম্যাচটি শেষ করা যায়! দক্ষিণ আফ্রিকার টেল-এন্ডার ব্যাটাররাও যেখানে সেঞ্চুরি ও ফিফটি করেছে, সেখানে টাইগাররা কত দ্রুত আউট হওয়া যায় সেই প্রতিযোগিতায় নেমেছিল!

তিন সেঞ্চুরিতে প্রোটিয়ারা ৬ উইকেটে ৫৭৫ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে। বিপরীতে মাত্র ১৫৯ রানেই গুটিয়ে গিয়ে প্রথম ইনিংসে ফলো-অনে পড়ে বাংলাদেশ। বুধবার টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমেই তারা ৩৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছিল।

বৃহস্পতিবার দলীয় সংগ্রহে আর ১২১ রান যোগ করতেই পড়ে বাকি ৬ উইকেট। এরপর ফলো-অনে পড়া বাংলাদেশকে দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংয়ে পাঠায় এইডেন মার্করামের প্রোটিয়া শিবির।

Link copied!