পার্থে গ্রিন-টপ পিচ বানিয়ে ভারতকে প্রথম ইনিংসে সহজেই অলআউট করলেও শেষমেশ ম্যাচ হারতে হয় অস্ট্রেলিয়াকে। পিচ থেকে পেসাররা সাহায্য পেলে বুমরাহদের সামলানো কতটা কঠিন, সেটা ভালোই টের পেয়েছেন অজিরা। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই অ্যাডিলেডের দ্বিতীয় টেস্টের আগে বাইশগজ নিয়ে সতর্ক অজি দল।
২০২১ সালে অ্যাডিলেড টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত মাত্র ৩৬ রানে অলআউট হয়েছিল। যার ফলে এই টেস্টের পিচ নিয়ে কিছুটা হলেও চিন্তায় থাকবে ভারত।
অ্যাডিলেডে অবশ্য গ্রিন-টপ পিচ বানানো ছাড়া উপায় নেই অজি ক্রিকেট বোর্ডের সামনে। কেনন বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির দ্বিতীয় টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে গোলাপি বলে। দিবারাত্রির এই টেস্টের জন্য ব্যবহৃত গোলাপি বলের প্রথম শর্তই হল পিচে ঘাস ছেড়ে রাখতে হবে। তা নাহলে বাড়তি পালিশ উঠে গিয়ে বলই দেখতে কষ্ট করতে হবে ব্যাটারদের।
শুক্রবার অ্যাডিলেড টেস্ট শুরু। আপাতত পিচে ৭ মিলিমিটারেরও বেশি ঘাস ছাড়া রয়েছে। তবে অ্যাডিলেড পিচের রহস্য নিয়ে কিউরেটর ড্যামিয়েন জানান, ম্যাচের আগে ঘাস ছাঁটা হবে অল্প। তিনি নিশ্চিত করেন যে, অ্যাডিলেড টেস্টে পিচে ঘাস থাকবে ৬ মিলিমিটার।
উল্লেখ্য, অ্যাডিলেড টেস্টের প্রথম দিনে পর্যাপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তা সত্ত্বেও আশা করা হচ্ছে ৫৩ হাজার দর্শকই হাজির হবে গ্যালারিতে। এমনিতেই ঘাসের পিচে পেসাররা বাড়তি সাহায্য পান। তার উপর গোলাপি বলে ব্যাট করা কার্যত দুর্বিসহ হয়ে দাঁড়ায় ব্যাটারদের কাছে। তাই বোর্ডার-গাভাসকর ট্রফির দ্বিতীয় টেস্টে পেসারদের তাই দাপট দেখা যেতেই পারে।
অবশ্য অ্যাডিলেডের কিউরেটর জানান যে, তিনি এবং তার টিম চেষ্টা করছেন এমন পিচ তৈরি করার, যাতে ব্যাট ও বলের লড়াইয়ে ভারসাম্য বজায় থাকে। পাশাপাশি স্পিনাররাও যাতে টেস্টে প্রভাব ফেলতে পারেন, সেদিকেও তাদের নজর থাকবে। দ্বিতীয় টেস্টের জন্য অ্যাডিলেডে স্পোর্টিং পিচ তৈরির চেষ্টা করবেন বলে জানান কিউরেটর।
ড্যামিয়েন স্পষ্ট করে জানান, মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় ফ্লাড লাইটে পেসাররা বড় রকমের সাহায্য পেতে পারেন। তাছাড়া প্রথম দিনে পিচের সাহায্য ছাড়াও অনুকূল আবহাওয়ার জন্য বল বাড়তি সুইং করবে বলে ধারণা কিউরেটরের।
ড্যামিয়েন বলেন, ‘অ্যাডিলেডের ইতিহাস বলছে, ফ্লাড লাইটে ব্যাট করা কঠিন। পিচে ৬ মিলিমিটার ঘাস থাকবে। আমরা এমন একটা পিচ উপহার দিতে চাই, যেখানে ভালো লড়াই হবে।’
পার্থ টেস্টে ২৯৫ রানে জিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে সফরকারী দল ভারত।