জিম্বাবুয়ে সিরিজের শেষ ম্যাচ চলাকালেই কৃতি পেসার তাসকিন আহমেদ হঠাৎ মাংসপেশিতে টান পান। এরপরই বিশ্বকাপ দল ঘোষণা নিয়ে নানা জল্পনার তৈরি হয়। তাসকিন কি শেষ অবধি বিশ্বকাপে যেতে পারবেন?
মঙ্গলবার দল ঘোষণার পর উত্তর পাওয়া গেছে এই প্রশ্নের। বিশ্বকাপে তো যাচ্ছেনই, তাসকিনকে করা হয়েছে সহ-অধিনায়কও।
দলে অনিশ্চয়তা থেকে তাসকিনকে সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কেন এমন সিদ্ধান্ত? বিসিবির প্রধান নির্বাচক এবং জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও ব্যাটার গাজী আশরাফ হোসেন লিপু উত্তরে বলেছেন, ‘এটা একটা গ্লোবাল টুর্নামেন্ট। এর আগে তো আমি কোনো দল ঘোষণা করতে আসিনি, এটা বিসিবির সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড থেকে আমাদেরকে অবহিত করা হয়েছে যে তারা ভাইস ক্যাপ্টেন হিসেবে তাসকিন আহমেদকে বিবেচনা করেছে।’
লিপু আরও বলেন, তিনি অন্য একটি জেনারেশনের উদীয়মান একজন খেলোয়াড়। একটা ডিপার্টমেন্টকে লিড করছেন। এবং দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দলের হয়ে খেলছেন বিভিন্ন ফরম্যাটে। সেজন্য হয়তো তাকে ডিজার্ভিং ক্যান্ডিডেট মনে করেছে বিসিবি।’
তাসকিনকে কি বিশ্বকাপে পাওয়া যাবে? প্রধান নির্বাচকের উত্তর, ‘এটা আপনাদের ভালো বলতে পারবে ভালো মেডিক্যাল কমিটি। যতটুকু তথ্য জানা আছে, সেই তথ্যের আলোকে আমরা আশা রাখছি তিনি হয়তো বিশ্বকাপ চলার কোনো একটা পর্যায়ে সুস্থ হয়ে যাবেন। সেই আলোকেই তাকে দলভুক্ত করা হয়েছে।’
লিপু বলেন, ‘আইসিসির এবারের সিলেকশন এবং রিপ্লেসমেন্ট পলিসিতে আপনি তিনজন খেলোয়াড়কে ক্যারি (রিজার্ভ) করতে পারবেন। পরবর্তী পর্যায়ে কোনো খেলোয়াড় যদি আকাঙ্ক্ষিত রিকোভারি না হয়, তখনও আপনি তাকে বদলাতে পারবেন। এমন না যে সবাইকে ফ্রেশ নিয়ে ২৫ তারিখের মধ্যে ঢুকতে হবে। তারপর কেউ ইনজুরড হলে বদলাতে পারবেন না, ব্যাপারটা এমন না। আপনি ইনজুরড খেলোয়াড় নিয়েও টুর্নামেন্টে ঢুকতে পারবেন।’