টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটে তামিম ইকবালের খুব দরকার ছিল বাংলাদেশ দলে। কারণ, ঐ বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) তামিম আসরের সর্বাধিক রান সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু তিনি যখন জানিয়েছিলেন, ৪/৫টার বেশি ম্যাচ খেলতে পারবেন না, তখন আসলে তাকে দলে নেওয়া সম্ভব হয়নি। যেখানে বিশ্বকাপ হয়েছিল লিগভিত্তিক এবং সেখানে বাংলাদেশ ৯টি লিগ ম্যাচে অংশ নেয়।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সেই সময় তামিমের সঙ্গে একটু বোঝাপড়া করে নিলেই ভালো হতো। আর তামিমের ভুলটা ছিল ম্যাচের সংখ্যা নিজেই নির্ধারণ করে দেওয়া।
যাইহোক, দীর্ঘ ৭ মাস পর এনসিএল টি-টোয়েন্টি দিয়ে মাঠের ক্রিকেটে ফিরেছেন তামিম। ফেরার ম্যাচে অবশ্য ব্যাট হাতে বুধবার চট্টগ্রাম বিভাগের হয়ে মাত্র ১৩ রান করে আউট হন সাবেক এই অধিনায়ক।
তবে বৃহস্পতিবার নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে স্বরূপে ফিরেছেন তামিম। সিলেট বিভাগের বিপক্ষে এদিন ৩৩ বলে ৮টি চার ও ৩টি ছক্কায় খেললেন ৬৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস। দলের জয়ে গুরত্বপূর্ণ অবদান রেখে জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কারও।
সাবেক প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু ম্যাচশেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ওয়ানডে ফরম্যাটের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং জাতীয় দলে তামিমের ফেরা নিয়ে বলেন, ‘জাতীয় দলে ফেরার জন্য ওকে (তামিম) সিদ্ধান্তটা নিতে হবে। ওর মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার যে কোনো দলের জন্য কিন্তু অনেক উপকৃত হবে। সেই হিসেবে মাত্র খেলা শুরু করেছে ওর ফিটনেস আরও দেখতে হবে। তারপর আমি মনে করি যেভাবে যাচ্ছে, আর কয়েকটা ম্যাচ খেলতে পারলে আরও ফিটনেসের উন্নতি হবে। তারপর ও সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।’
তামিমের ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করে নান্নু বলেন, ‘তামিম যেভাবে ব্যাটিং করেছে দেখে মনে হয় নি সাত মাস পর ক্রিকেটে ফিরেছে। যেহেতু এখন ফিটনেস ভালো আছে ওকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে ফিরবে কি না। এখানে প্রতিটা শর্ট এনজয় করেছি, আগের তামিমকেই মনে হয়েছে। ও পুরো প্রস্তুতি নিয়েই এখানে খেলছে।’
নান্নু আরও বলেন, ‘ক্রিকেটে অভিজ্ঞতার মূল্যায়ন সবসময় করা হয়। এটা থাকবে অভিজ্ঞতার সাথে তো কিছু কম্পেয়ার করা যায় না।’