বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান ও সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল মাত্র কিছুদিন আগেই বলেছিলেন, ‘জোড়াতালি দিয়ে চলছে বিসিবি।’ তার এই কথা অকপটে মেনে নিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। সেই সঙ্গে উপদেষ্টা এর সমাধানের কথাও উল্লেখ করেছেন।
সমস্যা সমাধানে শিগগিরই ক্রীড়া সংস্থাগুলো সংস্কার করা এবং বিসিবিতে নতুন পরিচালক আনা হবে বলে জানিয়েছেন আসিফ মাহমুদ।
রোববার যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের গত ১০০ দিনের কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ক্রীড়া উপদেষ্টা।
বুলবুল ২০০০ সালে বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টে (ভারতের বিপক্ষে) ১৪৫ রানে করেছিলেন প্রথম ইনিংসে। যা ইতিহাস হয়ে আছে। সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি সংক্রান্ত বুলবুলের ঐ মন্তব্যটি দৃষ্টিতে আনলে ক্রীড়া উপদেষ্টা বিষয়টি স্বীকার করে এর প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। একইসঙ্গে তিনি বিষয়টি দ্রুত সমাধানের আশ্বাসও দেন।
উপদেষ্টা আরও বলেন, অনেক পরিচালক না থাকায় এটা বাস্তব যে বিসিবি জোড়াতালি নিয়ে চলছে। বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নতুন পরিচালকদের আমাদের নিতে হবে। সেটা নেয়ার ক্ষেত্রেও কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। আমাদের ক্রীড়া সংস্থাগুলোর পুর্নগঠনের কার্যক্রম চলমান আছে, সেগুলো পুর্নগঠন হলে নিয়মতান্ত্রিক উপায়েই আরও নতুন পরিচালক যোগ হবে। বিসিবির বিভাগগুলো ভাগ করে দেয়ার ব্যাপার আছে। সেগুলো ভাগ করে দিলে বিসিবির কার্যক্রমে আরও গতিশীলতা আসবে বলে আমি মনে করছি।
আগের সরকারের সময়ে খেলাধুলাকে রাজনৈতিকীকরণ করা হয়েছিল- এমন কথা উল্লেখ করে আসিফ মাহমুদ বলেন, বিসিবিতে তো ধারাবাহিকতা ভাঙার কোনো কথা ছিল না। যদি বিসিবিতে রাজনৈতিকীকরণ না করা হতো, তাহলে দেশে পরিবর্তন আসলেও বিসিবি তার মতোই থাকতে পারতো, ধারাবাহিকভাবে তার কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারতো।
তিনি বলেন, ‘আমি যখন দায়িত্ব নিলাম, তখন বিসিবির পরিচালকদের পাওয়া যাচ্ছিল না। কারও সঙ্গে যে পরামর্শ করব, এমন একটা লোক পর্যন্ত ছিল না। গঠনতান্ত্রিক অনেক জটিলতা ছিল। তবে আইসিসির ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যে থেকে আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে বিসিবিতে পরিবর্তন এনেছি।’