কয়েক সপ্তাহ আগে পর্যন্ত যা স্বপ্নেও ভাবা যায়নি সেটাই হয়েছে ভারতের। ভারতের মাটিতে এক ম্যাচ বাকি থাকতে সিরিজ হারিয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড। এখনও ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে একটি টেস্ট ম্যাচ বাকি রয়েছে, তার আগেই ২-০ লিড নিয়ে সিরিজ পকেটে ঢুকিয়ে নিয়েছে কেন উইলিয়ামসনহীন কিউই শিবির।
এই সিরিজকে অবশ্য বোলারদেরই সিরিজ বলা যায়। কারণ প্রথম টেস্টে ম্যাট হেনরির বিধ্বংসী বোলিংয়েই খাদের কিনারায় এনে দিয়েছিল ভারতকে। মাত্র ৪৬ রানে আউট হওয়ার পর আর দ্বিতীয় ইনিংসেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি রোহিত শর্মারা। চিত্রটা খুব বেশি বদলায়নি দ্বিতীয় টেস্টেও।
পুণে টেস্টে আর আগের ভুল করেনি ভারতীয় দল। রোহিতদের আর প্রথমে ব্যাট করতে নামতে হয়নি। এবার তারা নেমেছিলেন পরে ব্যাটিং করতে, কিন্তু স্পিন খেলতে না পেরে কিউইদের বিরুদ্ধে ল্যাজেগোবরে অবস্থাই হয় স্বাগতিকদের। এবারও ছবিটা বদলায়নি, ব্যাটিংয় বিপর্যয়ের সামনে পড়ে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৫৬ রানেই আউট হয়ে যায় ভারতের সাধের লাইন আপ।
হারলেও বিষয়টাকে এতটাও গুরুত্ব দিচ্ছেন না রোহিত শর্মা, বরং চেষ্টা করছেন দলের পরিবেশ ভালোই রাখার।
কাজ কঠিন হলেও অসম্ভব বলেই কিছুই নেই। আপাতত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের রাস্তায় ভারতের সামনে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। এর মধ্যে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্টে জিততে পারলে কিছু অক্সিজেন পাওয়া যাবে, এরপর অজিদের মাটিতে ভালো খেলতে পারলে তখনই সুযোগ মিলবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে যাওয়ার। তাই ক্রিকেটারদের ওপর কোনও চাপ আসতে দিতে চান না রোহিত, ম্যাচ হারের পর তাই পালিয়ে না গিয়ে নিজেই এলেন সাংবাদিক সম্মেলনে, দিলেন যুক্তিও।
রোহিতের স্পষ্ট কথা, ক্রিকেটে হার জিত থাকবেই। এতদিন ধরে তারাই জিতিয়ে আসছেন ভারতকে, তাই প্রত্যাশাও তৈরি করেছেন।
রোহিত বলছেন, ‘দেখেন, ১২ বছরে যদি একবার সিরিজ হারি তাহলে সেটা ছাড় দেওয়া যায়। কারণ এতদিন ধরে তো আমরাই জিতিয়ে আসছি দলকে, একটা সিরিজ হার হতেই পারে। এখানে কারোর কিছু করার নেই, কারণ ভারতীয় দলকে ঘিরে ঘরের মাঠে প্রত্যাশা বেশি থাকে সমর্থকদের। কারণ ভারত ভালো খেলেই সেই প্রত্যাশার পারদকে ওপরের দিকে এনে দিয়েছে।’