যদি ভারতের আইপিএলের দলগুলো সঠিকভাবে তারকা খেলোয়াড় নির্বাচন করতো, তাহলে নাহিদ রানা বিশাল দামের বিনিময়ে দল পেতেন। কিন্তু বাংলাদেশকে রহস্যজনক কারণে অবজ্ঞা করেছে এবারের আইপিএল। সে যাইহোক, তাতে করে নাহিদ রানার বলের ঝড় থেমে যায়নি। বিপিএলে তিনি ঠিকই তা দেখাচ্ছেন। ঝড় তুলে হয়েছেন ম্যাচসেরাও।
পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে গতির ঝড় তোলা নাহিদ রানার দিকে তাকিয়ে ছিলেন বিপিএলের দর্শকরা। কখন শাণিত বোলিংয়ে প্রতিপক্ষের দুর্গ গুঁড়িয়ে দেন, সেটা দেখার অপেক্ষায় রংপুর রাইডার্সের ম্যাচগুলোর দিকে নজর রেখেছিলেন তারা।
ভক্তদের অপেক্ষার ঘড়ির দিকে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকতে দেননি রানা। বিপিএলে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই আসল রূপ দেখালেন ডানহাতি তারকা পেসার। মাত্র ২৭ রানে ৪টি উইকেট তুলে রানবন্যার বিপিএলে ১৫৫ রানের পুঁজি করা রংপুরকে দিলেন ৩৪ রানের রোমাঞ্চকর জয়। ভক্তদের হৃদয় জিতে ম্যাচসেরার পুরস্কারটাও লুফে নিলেন তিনি।
ম্যাচের সেরা তারকার পুরস্কার নিতে এসে নাহিদ জানালেন, মাঠের চোখধাঁধানো প্রদর্শনী দেখানোর কৌশলটা রপ্ত করতে তাকে বেশ কষ্ট করতে হয়েছে। কঠিন পরিশ্রম করতে হয়েছে।
রানা বলেন, ‘আসলে এটা হার্ড ওয়ার্ক, নিজের ফিটনেস, মেইনটেইন, সব কিছু মিলিয়েই…।’
বিপিএলে এর আগেও দুটি মৌসুম খেলেছেন রানা। তবে খুব বেশি উইকেট পাননি। জাতীয় দলেও দারুণ বোলিং করেছেন, ফাইফারও আছে। তবে কখনো ম্যাচসেরা হতে পারেননি। বিপিএল ও জাতীয় দল মিলিয়ে এবারই প্রথম ম্যাচসেরার পুরস্কার পেলেন তিনি। ফলে মঙ্গলবারের পুরস্কারটা রানার জন্য বিশেষ কিছু, রোমাঞ্চকর অনুভূতি। তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো লাগছে। যেহেতু এর আগে আমি কখনও বিপিএলের কোনো ম্যাচে বা জাতীয় দলের ম্যাচে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হইনি। এই প্রথম ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়ে ভালো লাগছে।’
একজন পাড়ার ক্রিকেটারকে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় নিয়ে যাওয়ার পথে কোচদের বড় ভূমিকা থাকে। ২২ বছর বয়সী পেসার বলেন, ‘হ্যাঁ অবশ্যই। যখন যে ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খেলি বা বিসিবিতে থাকি সবাই আমার যত্ন নেয় এবং ভুলগুলো ধরিয়ে দেন। আমি উন্নতি করার চেষ্টা করি।’
রানা বলেন, ‘রংপুর রাইডার্স যখন আমাকে দলে নিয়েছে, তাদের চাওয়া আছে, তা পূরণ করতে পেরে আলহামদুলিল্লাহ ভালো লাগছে।’