গ্রুপ পর্বে প্রতি গ্রুপের শেষ রাউন্ডের দুইটি ম্যাচ শুরু হবে একই সময়ে। ম্যাচের যেকোনো মুহূর্তেই বদলে যেতে পারে সমীকরণ। তাই দুই ম্যাচেই চোখ রাখতে হবে সমর্থকদের।
গ্রুপ ‘এ’ থেকে ইতোমধ্যেই শেষ ষোলোর লড়াই থেকে ছিটকে গেছে স্বাগতিক কাতার। শেষ ষোলোতে উঠতে এখন লড়াইয়ে আছে তিন দল। পরবর্তী রাউন্ডে উঠতে তিন দলের সামনে কী সমীকরণ তা তুলে ধরা হলো।
গ্রুপ পর্বের শেষ রাউন্ডে মুখোমুখি নেদারল্যান্ডস-কাতার ও একুয়েডর-সেনেগাল।
নেদারল্যান্ডস:
কাতারের বিপক্ষে হার এড়াতে পারলেই নিশ্চিত হবে নেদারল্যান্ডসের নকআউট পর্ব। হারলেও সুযোগ থাকবে, সেক্ষেত্রে তাদের প্রার্থনা থাকবে ইকুয়েডরের ম্যাচ জয়ের জন্য। সেনেগালের বিপক্ষে ইকুয়েডর ড্র করলে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে শেষ ষোলোতে উঠবে ডাচরা।
ডাচরা যদি ২ গোলে হারে, তখন দেখা হবে কে কত গোল করেছে। তবে ৩ গোলের ব্যবধানে হারলে বাদ পড়বে নেদারল্যান্ডস। আবার নেদারল্যান্ডস ও ইকুয়েডর, যদি দুই দলই হারে তখন দ্বিতীয় স্থান নির্ধারণে দেখা হবে গোল পার্থক্য। বর্তমানে গোল ব্যবধানে তারা সমতায় (+২)।
ইকুয়েডর:
ডাচদের মতো শেষ ম্যাচে জিতলে কিংবা ড্র করলে কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই শেষ ষোলোতে উঠবে লাতিন আমেরিকার দেশটি। ম্যাচ হারলে তাদের সামনে থাকবে সুযোগ। তখন অবশ্য নেদারল্যান্ডসকে হারতে হবে। গোল ব্যবধানে নির্ধারিত হবে কে যাবে।
ইকুয়েডর ম্যাচ হারলেও সুযোগ থাকবে শেষ ষোলোতে উঠার। সেক্ষেত্রে অবশ্য অন্য ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে হারতে হবে। তাদের সঙ্গে পয়েন্ট সমান থাকায় বিবেচনায় আসবে গোল ব্যবধান। নেদারল্যান্ডস ও ইকুয়েডর, দুই দলই জিতলে শীর্ষস্থান নির্ধারণ হবে গোল ব্যবধানের হিসাবে। সব উপায়ে সমতা থাকলে দেখা হবে ফেয়ার প্লে (হলুদ ও লাল কার্ড)।
সেনেগাল:
ইকুয়েডরকে হারালেই লক্ষ্য পূরণ হবে তাদের। সুযোগ থাকবে ড্র করলেও; তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই অন্য ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে হারতে হবে অন্তত ৩ গোলের ব্যবধানে। নিজেরা জিতলে এবং ডাচরা হারলে গ্রুপ সেরা হবে সেনেগাল।