দারুণ এক টেস্ট ক্যারিয়ার তার। বাংলাদেশকে এনে দিয়েছেন অনেক গর্ব। যদিও ক্যারিয়ারটা একটা কষ্টের মধ্যেই শেষ হবে বলে মনে হচ্ছে। একটা মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে গেছে সাকিব আল হাসানের নাম। এরপরও চেয়েছিলেন মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জীবনের শেষ টেস্ট খেলবেন। তার জন্য নিরাপত্তা চেয়েও পেলেন না কোন প্রকার আশ্বাস। তাই হয়তো কানপুর টেস্টই তার ক্যারিয়ারের লংগার ভার্সনের শেষ ম্যাচ হয়ে রইলো।
কানপুর টেস্ট শুরুর আগের দিনই অবসরের ঘোষণা দেন সর্বকালের অন্যতম বিশ্বসেরা ক্রিকেট অলরাউন্ডার সাকিব। তিনি জানান, তিনি তার শেষ টি-টোয়েন্টি খেলে ফেলেছেন সবশেষ বিশ্বকাপে। টেস্টেও ইতি টানার কথা রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে। তবে ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিতব্য সিরিজটিতে শেষ পর্যন্ত সাকিবকে দেখা যাবে না বলেই মনে হচ্ছে।
চেন্নাই টেস্টের পর কানপুরেও বড় ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। ২-০তে সিরিজ হোয়াইটওয়াশের পর সংবাদ সম্মেলনে আসেন বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। যেখানে দলের পরাজয়ের চেয়েও বেশি প্রশ্ন ছিল সাকিবকে ঘিরে। ভারতীয় সাংবাদিকরা শুধু সাকিব-কেন্দ্রিক প্রশ্নই করেছেন। তাদের প্রশ্নের উত্তরে হাথুরুসিংহে জানান, সাকিব দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ খেলে অবসরের ঘোষণা দেয়ায় তিনি অবাক হয়েছেন।
চলতি মাসেই প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠের এই সিরিজে সাকিবকে পাওয়া যাবে কি না, এ প্রশ্নের উত্তরে হাথুরুসিংহে বলেছেন, ‘এটাই সাকিবের শেষ টেস্ট ম্যাচ, এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। আমি যতটুকু জানি, সে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজটা খেলছে।’
সাকিববিহীন দলের পরিকল্পনা কেমন হবে, কে হবেন তার বিকল্প, হাথুরুসিংহে এ প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, ‘আমি মনে করি, সাকিব না থাকলে কি হবে, সে ভাবনা তো সব সময়ই আছে, বিশেষ করে সে এখন তার ক্যারিয়ারের শেষ অধ্যায়ে আছে।’
লঙ্কান এই কোচ পরে যোগ করেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকাকে সাকিব তার সে শেষ সিরিজ বলায় আমরা সবাই অবাক হয়েছি। আর আপনি তো সাকিবের মতো হুবহু বিকল্প খুঁজে পাবেন না।’
কানপুর টেস্টে ভারতের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। চেন্নাইয়ে প্রথম টেস্ট ২৮০ রানে হারায় দুই ম্যাচের এই সিরিজ বাংলাদেশ হারল ২–০ ব্যবধানে।
