প্রথম ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পর খাদের কিনারায় চলে গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রাথমিক পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না ক্যারিবিয়ানদের সামনে।
বাঁচা-মরাই লড়াইয়ে প্রথমে ব্যাট করে খুব বড় স্কোর গড়তে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে দুর্দান্ত বোলিংয়ে লড়াকু স্কোরকেই জয়ের জন্য যথেষ্ট বানিয়ে নিয়েছেন বোলাররা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩১ রানে জিতে আসরে টিকে রইল নিকোলাস পুরানের দল।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে হোবার্টের বেলেরিভ ওভালে বুধবার (১৯ অক্টোবর) জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে এদিন ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৩ রান করে ক্যারিবিয়রা।
দলীয় ২৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কাইল মায়ার্স ফিরে যান ব্যক্তিগত ১৩ রানে। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দলের ৪৯ রানের জুটি গড়েন এভিন লুইস ও জনসন চার্লস। দলীয় ৭৭ রানে লুইস আউট হলে ভাঙে তাদের জুটি। ১৩ রানের ব্যবধানে অধিনায়ক নিকোলাস পুরানও ফিরলে চাপে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
দলীয় ৯৭ রানে জনসন চার্লসও ফিরে যান। যাওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৩৬ বলে ৪৫ রান রানের ইনিংস। এরপর রভম্যান পাওয়েলের ২৮ ও আকিল হোসেনের ২৩ রানে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রানের সংগ্রহ পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ঝোড়ো শুরু পায় জিম্বাবুয়ে। দলীয় ২৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় তারা। ৯ বলে ১৩ রানের ইনিংস খেলে ফিরে যান রেজিস চাকাভা।
সঙ্গী হারালেও অন্য প্রান্তে ঝড় চালিয়ে যাচ্ছিলেন আরেক ওপেনার ওয়েসলি মাধেবারে। তিন নম্বরে ব্যাট করতে এসে দ্রুত বিদায় নেন টনি মুয়োনঙ্গা।
এরপরই শুরু হয় ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিল! শুরুর সেই ছন্দ পরে আর ধরে রাখতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। ৪৮ থেকে ৬৪ রানের মধ্যে ফিরে যান শেন উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা ও ওয়েসলি মাধেবারে। আউট হওয়ার আগে ওয়েসলির ব্যাট থেকে আসে ১৯ বলে ২৭ রানের ইনিংস।
এরপর আর কোনো জিম্বাবুইয়ান ব্যাটার উইকেটে থিতু হতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত উনিশতম ওভারের দ্বিতীয় বলে ১২২ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে।
গ্রুপ ‘বি’তে এখন সবারই দুই পয়েন্ট। রান ব্যবধানে শীর্ষে স্কটল্যান্ড, দুই নম্বরে জিম্বাবুয়ে তিন নম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও সবার নিচে আয়ারল্যান্ড।