বাংলাদেশে যখন কোনো সংসদ নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়, তখন একবার এক দলের প্রার্থী এগিয়ে যায়, আবার দ্রুতই আরেক দলের প্রার্থী তাকে পেছনে ফেলে দেয়। অনেকটা তেমনই অবস্থা বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জয়-পরাজয়ের রেকর্ডে।
চলতি সিরিজ শুরুর আগে বাংলাদেশ ছিল বিশ্বের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি পরাজিত হওয়া দল। ১০৭টি হার ছিল তাদের নামের পাশে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের হারের সংখ্যা ছিল ১০৬টি। বাংলাদেশ এবার প্রথম ম্যাচ জিতে গেলে দু’দলের অবস্থান সমান হয়ে যায় (১০৭ পরাজয়)। বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজ জেতার সঙ্গে সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজ হারের একক বিশ্বরেকর্ডের মালিক হয়ে যায় (১০৮ পরাজয়)।
বাংলাদেশের বিপক্ষে সময়টা মোটেই ভালো যাচ্ছে না ওয়েস্ট ইন্ডিজের। টি-টোয়েন্টি সিরিজে দুই ম্যাচেই পরাজিত হয়ে ক্যারিবীয়রা গড়েছে এই বিব্রতকর বিশ্বরেকর্ড। সেন্ট ভিনসেন্টে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ২৭ রানে হেরে বাংলাদেশ ইতিহাস গড়েছে। লিটন দাসের নেতৃত্বে প্রথমবারের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে তাদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ।
এই পরাজয়ের ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শুধু সিরিজ হারেনি, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হারের রেকর্ডও গড়েছে। তাদের পরেই রয়েছে বাংলাদেশ, যারা ১০৭ ম্যাচে পরাজিত।
পরিসংখ্যান বলছে, টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাফল্যের হার বাংলাদেশের তুলনায় বেশি। ক্যারিবীয়রা এখন পর্যন্ত ২১৫ ম্যাচ খেলে জিতেছে ৯৩টি, সাফল্যের হার ৪৩.২৬ শতাংশ। তারা ২০১২ ও ২০১৬ সালে দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও জিতেছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ ১৮১ ম্যাচ খেলে জিতেছে ৭০টি, সাফল্যের হার ৩৮.৬৭ শতাংশ।
টি-টোয়েন্টিতে ১০০ বা তার বেশি ম্যাচ হারের ক্লাবে রয়েছে চারটি দল। শ্রীলঙ্কা হেরেছে ১০৪টি, জিম্বাবুয়ে ১০৩টি এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশ যথাক্রমে ১০৮ ও ১০৭টি ম্যাচে পরাজিত।
সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে সেন্ট ভিনসেন্টে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই ম্যাচে জয় এলে উইন্ডিজ এড়াতে পারবে হোয়াইটওয়াশ। সেইসঙ্গে দুটি দলই যৌথভাবে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হারের রেকর্ড গড়বে।