৬ বলে লাগে ১৬ রান। লং-অফে হার্দিক পান্ডিয়ার ফুল টস বল উড়িয়ে মারলেন ডেভিড মিলার। কিন্তু সেটা সীমানার কাছ থেকে তালুবন্দী করেন সূর্যকুমার যাদব। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দড়ির বাইরেও চলে যেতে হয় তাকে, এ সময়টায় শূন্যে বল উড়ছিল। পরে সেটি আবার ধরেন সূর্যকুমার। টিভি রিভিউ দেখে আউট দেন রিচার্ড কেটলবরো।
মিলার আউট হলে পরের ৫ বলে আর ৮ রান করতে সক্ষম হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১১ বছরের শিরোপা-খরা কাটিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু মিলার যদি আউট না হতেন? এই প্রশ্ন উঠছে সূর্যকুমারের ক্যাচের ক্লোজ রিভিউ দেখে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রিভিউর জুম করা ভিডিওতে দেখা যায়, বল হাতে থাকা অবস্থায় সূর্যকুমারের পায়ের কাছে কিছু একটা নড়ছে। সেটা কি সীমানা দড়িই ছিল?
বেন কার্টিস নামে একজন লিখেছেন, “এটা নিশ্চিত একবারের বেশি দেখা উচিত। এমনিই বলছি। বাউন্ডারির দড়ি মনে হচ্ছে সরে গিয়েছিল।”
আরেকটা প্রশ্ন হলো, সীমানা দড়ি সরে গিয়েছিল কি না। কয়েকটি ছবিতে দেখা যায়, সূর্যকুমার ক্যাচ ধরেছেন সাদা দাগে চিহ্নিত অংশ ও সীমানা দড়ির মধ্যখান থেকে। এক্সে রোহিত শঙ্কর নামে একজন লিখেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য দুর্ভাগ্যজনক। দড়িটা মূল সীমানালাইন থেকে সরে গিয়েছিল। এটাই হলো বিষয়।”
যদি দড়ি মূল সীমানালাইন থেকে সরে গিয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে আইন কী বলে? ক্রিকেটের অ্যালমানাকখ্যাত উইজডেন জানাচ্ছে, আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী ১৯.৩ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘সীমানা চিহ্নিত করতে ব্যবহৃত কোনো কঠিন বস্তু যদি কোনো কারণে বিঘ্নিত (সরে যায়) হয়, তাহলে সীমানাটি তার আসল অবস্থানে আছে বলে বিবেচিত হবে।”
১৯.৩.২ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “সীমানা চিহ্নিত করতে ব্যবহৃত কোনো কঠিন বস্তু যদি কোনো কারণে বিঘ্নিত (সরে যায়) হয়, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব তা ঠিক করতে হবে। খেলা চলতে থাকলে বল ডেড হওয়ামাত্রই এ কাজ করতে হবে।”
তবে কি মিলার ও দক্ষিণ আফ্রিকা অন্যায়ের শিকার হলো? কে জানে আউট না হলে হয়তো পরের ৫ বলে ১০ রান নিয়েই ফেলতেন টি-টোয়েন্টির বিস্ফোরক ব্যাটার। মিলারের পক্ষে এমন কাজ কি অসম্ভব?