পাকিস্তানের পেসার ওয়াহাব রিয়াজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। ২০০৮ সালে দেশটির জার্সিতে তার অভিষেক হয়েছিল। তাতে জাতীয় দলের হয়ে ১৫ বছর পার করার পরে অবসরের সিদ্ধান্ত নিলেন বাঁহাতি এই পেসার। তবে তিনি ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলা চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন। বুধবার (১৬ আগস্ট) এক টুইট বার্তার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত জানান ওয়াহাব রিয়াজ। পাকিস্তানের হয়ে ২০১১, ২০১৫ ও ২০১৯ বিশ্বকাপে খেলেছেন তিনি।
পাকিস্তানের হয়ে সবশেষ খেলেছেন তিনি ২০২০ সালের ডিসেম্বরে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে। ওয়ানডেতে তাকে সবশেষ দেখা গেছে ২০২০ সালের নভেম্বরে, টেস্টে ২০১৮ সালের অক্টোবরে।
গত মার্চে পাকিস্তান সুপার লিগের পর কোনো ধরনের ক্রিকেটেই কোনো ম্যাচ খেলেননি ওয়াহাব। বরং তাকে দেখা গেছে রাজনীতির ময়দানে। গত জানুয়ারিতে পাঞ্জাবের তত্ত্বাবধায়ক ক্রীড়ামন্ত্রীর দায়িত্ব নেন তিনি।
নিজের সেরা সময়ে ওয়াহাব ছিলেন বেশ গতিময়। স্কিলেও ছিলেন বেশ সমৃদ্ধ। দুই দিকেই সুইং করাতে পারতেন, ইয়র্কার ছিল বিধ্বংসী। বেশ আগ্রাসীও ছিলেন। তবে সেই চেহারায় তাকে খুব কমই দেখা গেছে পাকিস্তানের জার্সিতে। চোট, অধরাবাহিকতা ও নানা কিছু মিলিয়ে জাতীয় দলের হয়ে টানা লম্বা সময় খেলতে পেরেছেন কমই। সাড়ে ১৫ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তাই তিন সংস্করণ মিলিয়ে ম্যাচ খেলতে পেরেছেন কেবল ১৫৪টি।
২৭ টেস্টে তার শিকার ৮৩ উইকেট। অভিষেকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওভালে ৫ উইকেট নেওয়ার পর ক্যারিয়ারে এই স্বাদ পেয়েছেন আর মাত্র একবার, ২০১৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ৯১ ওয়ানডে খেলে উইকেট ১২০টি। ২০১১ বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ৪৬ রানে ৫ উইকেট তার সেরা বোলিং। ২০০৮ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ক্যারিয়ার। এই সংস্করণে ৩৬ ম্যাচ খেলে তার শিকার ৩৪ উইকেট।
বিদায়ী বার্তায় ওয়াহাব বললেন, দীর্ঘদিনের ভাবনা থেকেই তার এই সিদ্ধান্ত।
পাকিস্তানি এই পেসার বলেন,“অবসর পরিকল্পনা নিয়ে গত দুই বছর ধরেই বলে আসছিলাম যে, ২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার লক্ষ্য আমার এবং যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন বেশি স্বস্তি পাচ্ছি যে, আমার দেশ ও জাতীয় দলকে আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে সেবা করেছি।”
এ সময় ওয়াহাব আরও বলেন,“আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পাকিস্তানকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারা ছিল অনেক বড় সম্মান ও মর্যাদার। এই অধ্যায়কে বিদায় জানানোর পর ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে নতুন অভিযান শুরু করার পথে আমি রোমাঞ্চিত, যেখান আশা করি বিশ্বের সেরা সব প্রতিভার সঙ্গে লড়াই করার পাশাপাশি দর্শকদের বিনোদন দিতে পারব এবং অনুপ্রাণিত করতে পারব।”