প্রায় এক সপ্তাহ আগে থেকে সারা বিশ্বে আলোচনা চলছে এবারের ব্যালন ডি’অর কে জিতবেন, তা নিয়ে। তাতে দেখা গেছে, রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান তারকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের নামই উঠেছে সবচেয়ে বেশি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সমস্ত জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে তা জিতে নিয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ তারকা রদ্রি।
অথচ, তিন দিন আগেই খেলার মাঠে বার্সেলোনার বিপক্ষে মেজাজ হারিয়ে পাবলো গাভিকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, ‘সোমবারই আমি ব্যালন জিততে যাচ্ছি।’ স্প্যানিশ মিডিয়ার সূত্র ধরে পুরো বিশ্ব জানতে পেরেছিল ভিনিসিয়ুসের হাতেই উঠছে ব্যালন ডি’অরের মর্যাদার ট্রফি।
তবে হিসাব পালটে যেতে থাকে সোমবার বিকেলের পর থেকেই। সাধারণত ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিন ব্যালন ডি’অর তালিকা নিয়ে বরাবরই সর্বোচ্চ গোপনীয়তার চেষ্টা করে। মূল আয়োজনের আগে উপস্থাপকদেরও ধারণায় থাকে না কে জিততে চলেছেন ফুটবলের ব্যক্তিগত এই প্রেস্টিজিয়াস শিরোপা।
যদিও দৃশ্যপট বদলেছে ২০২৪ সালে এসে। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার ঘণ্টা কয়েক আগেই বিখ্যাত ক্রীড়া সাংবাদিক ফ্যাবজিও রোমানো জানিয়েছেন, ভিনিসিয়ুসের হাতে উঠছে না এবারের ব্যালন ডি’অর। ব্যালন ডি’অরের অনুষ্ঠানেও যাচ্ছেন না রিয়ালের এই তারকা ফরোয়ার্ড। শেষ পর্যন্ত সবাইকে অবাক করে দিয়ে ব্যালন ডি’অর ওঠে মিডফিল্ডার রদ্রির হাতে।
ফুটবলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিগত এই শিরোপা হারিয়ে বেশ বিমর্ষ ছিলেন ভিনিসিয়ুস। এমনটাই জানিয়েছে মাদ্রিদভিত্তিক একাধিক সংবাদ সংস্থা। এরইমাঝে ভিনিসিয়ুস নিজেও লিখেছেন নিজের কথা। অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে এই ব্রাজিলিয়ান লিখেছেন, ‘দরকার হলে আমি ১০ গুণ হয়ে ফেরত আসব। ওরা আমার জন্য প্রস্তুত না।’
এই পোস্টকে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে তার সংগ্রাম হিসেবে দেখছেন ভিনিসিয়ুসের ম্যানেজমেন্ট। তারা বলেছেন, ‘বিশ্ব ফুটবল সংস্থা ভিনিসিয়ুসের প্রতিবাদকে (বর্ণবাদীতার বিরুদ্ধে) গ্রহণ করতে প্রস্তুত নয়।’
ভিনিসিয়ুসের ভাই এডওয়ার্ড বলেন, ‘আমার ভাই ফুটবল রাজনীতির শিকার। সে বিশ্বের সেরা ফুটবলরার।’
গত মৌসুমে ভিনি দলের ও ক্লাবের হয়ে খেলেছেন ৪৯টি ম্যাচ। সেখানে তিনি গোল করেছেন ২৬টি ও সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ১১টি। গত মৌসুমে তার শিরোপার তালিকায় ছিল- চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, লা লিগা ও স্প্যানিশ সুপার কাপ। তবে জাতীয় দলের হয়ে ছিলেন পুরোপুরি ব্যর্থ।
অপরদিকে রদ্রি গত মৌসুমে খেলেছেন ৬৩টি ম্যাচ। সেখানে গোল করেছেন ১২টি ও অ্যাসিস্ট ১৬টি। তার দখলে রয়েছে প্রিমিয়ার লিগ, ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ, উয়েফা সুপার কাপ ও স্পেনের জার্সিতে ইউরো।
ক্লাব আর জাতীয় দলে সমান পারফরম্যান্স বিচারে কিছুটা এগিয়েই ছিলেন রদ্রি।