কমনওয়েলথ গেমসের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে। ক্রীড়াবিদদের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে মাঠে গড়াবে তো গেমসটি? কারণ খরচ দ্বিগুণ হওয়ায় ২০২৬ সালের কমনওয়েলথ গেমসের আয়োজন থেকে সরে গিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার রাজ্য ভিক্টোরিয়া। এই শেষ সময়ে এসে নতুন করে আয়োজক পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। এদিকে, ভিক্টোরিয়ার এমন সিদ্ধান্তে চরম হতাশা প্রকাশ করেছে কমনওয়েলথ গেমস ফেডারেশন।
ক্রীড়ার যে কোনো ইভেন্টের আয়োজক হতে এক সময় দেশের মধ্যেও লড়াই করতে দেখা যেত। কিন্তু ধীরে ধীরে সে আগ্রহ এখন কমে আসছে। ২০২১ টোকিও অলিম্পিক আয়োজন নিয়ে শহরটির নাগরিকদের মধ্যে শেষ দিকে বিরূপ মনোভাব দেখা গেছে।
২০২২ বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসের সাফল্যের পর যখন ২০২৬ কমনওয়েলথ গেমস সবার আগ্রহ বাড়িয়ে দিয়েছে, সেখানে খেলার এই মহাযজ্ঞ আয়োজন থেকেই সরে যাচ্ছে ভিক্টোরিয়া।
ড্যান অ্যান্ড্রুস বলেছেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল ২৬০ কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার খরচ হবে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে সব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে খরচ ৭০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
এক সংবাদ সম্মেলনে ভিক্টোরিয়া রাজ্যের প্রিমিয়ার অ্যান্ড্রুস বলেছেন, “সত্যি বলতে ১২ দিনের একটি খেলার ইভেন্টের জন্য ৬০০ থেকে ৭০০ কোটি ডলার ব্যয় আমরা করব না। গত বছরে যে পূর্বানুমান করা হয়েছিল, তার তিন গুন ব্যয় হবে এমন এক ইভেন্টের জন্য আমি হাসপাতাল ও বিদ্যালয়ের ফান্ডের টাকা ব্যবহার করব না।”
অ্যান্ড্রুস আরও বলেছেন, ”ভিক্টোরিয়া ইতোমধ্যে তাদের সিদ্ধান্ত বিশ্ব কমনওয়েলথ গেমস ফেডারেশনকে (সিজিএফ) জানিয়ে দিয়েছে। তবে এভাবে চুক্তি ভাঙার জরিমানা কত হবে, সেটা জানানো হয়নি।”
ভিক্টোরিয়ার সরে যাওয়ার সিদ্ধান্তে ‘চরম হতাশা’ প্রকাশ করে সিজিএফ বলেছে, গেমস আয়োজনের সমাধান খুঁজতে তারা ‘প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’
এদিকে, অস্ট্রেলিয়া অলিম্পিক কমিটির সাবেক প্রধান ও আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সহ-সভাপতি জন কোটস বলেছেন, নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের উচিত ২০২৬ কমনওয়েলথ গেমস আয়োজন করা।
তবে নিউ সাউথ ওয়েলস প্রিমিয়ার ক্রিস মিনস বলেছেন, “বাজেট সমস্যায় এ ধরনের যেকোনো প্রস্তাব ফিরিয়ে দেবেন তারা। একই কথা জানিয়ে দিয়েছে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া রাজ্যও।”